তৌহিদের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের টানা দ্বিতীয় জয়
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ২৬৪/৮ ( তৌহিদ ১২২, আফিফ ৫০, জামকান্দি ৫/ ৪৮)
কানাডা অনূর্ধ্ব-১৯ ১৯৮ ( আরসলান ৬৩, আফিফ ৫/৪৩)
ফলাফল- বাংলাদেশ ৬৬ রানে জয়ী
প্রথম ম্যাচে নামিবিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশের যুবারা। গ্রুপ সি এর দ্বিতীয় ম্যাচে কানাডা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারাতেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি সাইফ হাসানদের। লিংকনে তৌহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে কানাডাকে ৬৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি কানাডা। ১১ রান করে রণধীর সাধু ফিরলেও প্রণব শর্মা ও অধিনায়ক আরসলান খান লক্ষ্যের সাথে তাল মিলিয়েই রান তুলতে থাকেন।
আরসলান হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলে কিছুটা বিপদের আভাস পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে অবশ্য দ্রুতই ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনেন সাইফরা। এটার কৃতিত্ব পুরোটাই আফিফ হোসেনের। ৪৩ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে অন্য কোন ব্যাটসম্যানকে দাঁড়াতেই দেননি তিনি। ৬৩ রান করে আফিফের বলে মাহিদুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে আরসলান ফিরলে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে যায়। বাকি সময়টা লড়াইয়ে ফেরার বৃথা চেষ্টাই করেছেন কানাডার ব্যাটসম্যানরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ২৯ রানের মাঝেই ফেরেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক সাইফ হাসান ও ওপেনার পিনাক ঘোষ। তাঁদের দ্রুত ফেরার অভাবটা অবশ্য বুঝতে দেননি তৌহিদ-আফিফ জুটি। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১১১ রানের জুটি দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেয়ার ভিত গড়ে দেয়। বোলিংয়ে নৈপুণ্য দেখানোর আগে ব্যাট হাতেও ফিফটি করেছেন আফিফ।
কানাডার বোলারদের রীতিমত নাকানি চুবানি খাইয়েছেন তৌহিদ। ৯৬.৮২ স্ট্রাইক রেটে ১২৬ বলে করেছেন ১২২ রান। দুর্দান্ত এই ইনিংসে চার মেরেছেন ৯টি, ছক্কা ১টি। বাংলাদেশের ইনিংসের একদম শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে টিকে ছিলেন, শেষ বলে ফয়সাল জাকান্দির বলে স্যামুয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। কানাডার ফয়সাল জামকান্দি নিয়েছে ৫ উইকেট।