• ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    তিন নাম্বারের চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করতে চান সাকিব

    তিন নাম্বারের চ্যালেঞ্জটা উপভোগ করতে চান সাকিব    

    ওয়াইড বলে উইকেট। প্রথম বাংলাদেশী বোলার হিসেবে ম্যাচের প্রথম ওভারে দুই উইকেট। ব্যাটিংয়ে মোটামুটি ‘নতুন’ পজিশন- তিন নাম্বার। সেখানে ব্যক্তিগত ‘সর্বোচ্চ’ স্কোর। সব মিলিয়ে সাকিব আল হাসান ম্যাচসেরা। বোলিংয়ে ইনিংস ওপেন করাটা তার জন্য নতুন কিছু নয়, সে তুলনায় তিন নাম্বার পজিশনটাই অচেনা। অচেনা যে, সেটা সাকিব বুঝিয়ে দিলেন নিজেই। ঠিক মনে করতে পারলেন না, কতোবার খেলেছেন তিনে। এ নিয়ে তিন নাম্বারে খেললেন তিনবার, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২০১৪ সালে ও আজ, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একবার। তবে এই চ্যালেঞ্জটা নিতে চাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। 

    ‘এটা বোধহয় দ্বিতীয়বার খেললাম… তিনবার। আসলে নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। নতুন চ্যালেঞ্জ না থাকলে যেটা হয়, ক্রিকেট উপভোগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। পরেরবার চেষ্টা থাকবে যাতে থিতু হলে ইনিংস বড় করা যায়। তিন নম্বরের কাছে চাওয়া থাকে যে, দ্রুত উইকেট পড়লে তারা যেন ইনিংস বড় করতে পারে। যেহেতু তিনে ব্যাট করার সুযোগ এসেছে, চেষ্টা থাকবে বড় ইনিংস খেলার।’
    বোলিং করতে হয়, সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে টপ অর্ডারের ব্যাটিং-ও। সাকিব চ্যালেঞ্জ মানছেন এই কঠিন কাজটাই। 

    মিরপুরের আজকের উইকেটে বোলিংটা অবশ্য খুব কঠিন ছিল না তার কাছে, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সফল হওয়ার বড় এক কারণ স্পিন। আর সকালের দিকে উইকেটে সহায়তাও ছিল বোলিংয়ে। যত সময়ই পার হয়েছে, ব্যাটিং ততো সহজ হয়েছে। এজন্য পরিকল্পনা ছিল দ্রুত উইকেট নেওয়া। তারা একটু হলেও পেস বলে স্বস্তিবোধ করে সেই কারণেও স্পিন।’

    ওয়াইড বলে উইকেটটা ঠিক পরিকল্পনা করে নেওয়া নয় বলেও পরিষ্কার করেছেন তিনি, ‘না আসলে কোনও পরিকল্পনা করে করা ছিল না। মুশফিক ভাইও আমার মনে হয় ভাল কিপিং করেছে, কারণ ডাউন দ্য লেগ যে কোনও কিপারের জন্য কঠিন। আজকে উনার দিনটা ভাল ছিল, বেশ কিছু ক্যাচও ধরেছেন।’ 

    দিনটা ভাল ছিল মুস্তাফিজেরও। বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে অনেকবার বলা কথাটাই আরেকবার বলেছেন সাকিব, ‘‘আমার কাছে মনে হয় নাই ও কখনো খারাপ করেছে। হয়তো উইকেট পায়নি, কিন্তু সব সময় উইকেট পাওয়া একটা বোলারের কেন, একটা মানুষের পক্ষেই কখনই সম্ভব না। ও কখনই খারাপ অবস্থায় ছিল না। এখন হয়ত আরও ভাল অবস্থায় এসেছে। ও অনেক কাজ করছে, ওর বোলিং দেখে আমি অনেক সন্তুষ্ট।’

    সাকিব সন্তুষ্ট দলের পারফরম্যান্স নিয়েও। এবং সেটাকে বলছেন প্রত্যাশিত। যা একটু ‘অবাক’ করেছে জিম্বাবুয়েই, ‘আমাদের ধারণা ছিল ওরা আরেকটু ভাল ব্যাটিং করবে।’