• ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    পর্দার সামনে-পেছনে 'মুস্তাফিজ-মুগ্ধতা'

    পর্দার সামনে-পেছনে 'মুস্তাফিজ-মুগ্ধতা'    

    ক্রিকেট ম্যাচ কিছুটা সিনেমার মতো। পর্দায় যা গল্প বলা হয়, সে গল্পগুলোকে তুলে আনতে পর্দার পেছনে থাকে আরও বেশি গল্প। সেসব গল্প জানেন এর কলাকুশলিরা। রিচার্ড হ্যালসলও তেমন একজন। পদবীতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সহকারি কোচ। সবাই মাঠে মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং দেখে যখন ‘চমৎকৃত’ হচ্ছেন, হ্যালসল তখন মুগ্ধ মুস্তাফিজের পরিশ্রমে। 

    এমনিতে চোট মুস্তাফিজের জন্য নতুন নয়, চোট কাটিয়ে ফেরাতেও তাই অভ্যস্থই হয়ে উঠছেন। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় কি সময়টা বেশি লাগছে মুস্তাফিজের? হ্যালসলের মতে, এটা খুবই স্বাভাবিক, ‘আপনি যদি বেসবলের দিকে তাকান, অনেক পিচারেরই এমন চোট থাকে। ঘন্টায় ৯০ মাইল বেগে বল ছুঁড়তে হয়, তবে (চোট কাটিয়ে) এই গতি ফিরে পেতে তাদের প্রায় দুই বছরের মতো সময় লেগে যায়। মুস্তাফিজের (প্রথম) চোট পাওয়ার পর থেকে মনে হয় ১৮ মাস হলো। সে (গতকাল) কাটার করেছে, ঘন্টায় ৮৫ মাইল বেগে সেগুলো বেঁকে গেছে। তার কাটার বরাবরের মতোই দারুণ রয়ে গেছে।’ 

     

     

    মুস্তাফিজ ‘ছন্দ’ ফিরে পাচ্ছেন দ্রুতই,  ‘প্রতি সপ্তাহেই তার গতি ঘন্টায় মাইলখানেকের মতো করে বাড়ছে। কাটারগুলো এতে আরও বেশি কার্যকরী হয়ে উঠছে। আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসছে।’

    কাটার, গতি- এসব তো দেখবেন দর্শক-সমালোচকরা। পর্দার পেছনের মানুষ হওয়ায় হ্যালসলকে মুগ্ধ করছে অন্য কিছু, ‘তবে সবচেয়ে বেশি দেখার মতো যে বিষয়টা, সে আদতে কতোটা পরিশ্রম করছে। স্কিল বাড়াতে সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছে সে। কাউকে নিজের স্কিল আর ভাল লাগার জিনিস নিয়ে কাজ করতে দেখাটা সবার জন্যই দারুণ। আমরা তামিম-মুশফিককে নেটে (বাড়তি সময়) দেখে অভ্যস্থ, তবে প্রতি সেশনেই একজন বোলারের এমন আচরণ দেখাটা বেশ উৎসাহজনক।’

    মুস্তাফিজ তাই পর্দার সামনের মানুষদেরই নয়, খুশি করতে পারছেন পেছনের মানুষগুলোকেও।