• " />

     

    বোলারের মাথায় লেগেও ছয়

    বোলারের মাথায় লেগেও ছয়    

    বোলারকে ‘শক্ত মার’ দেওয়া কথাটা ক্রিকেটে প্রতীকি অর্থেই প্রচলিত। সেটা রুপ নিল আক্ষরিক অর্থেই, ব্যাটসম্যানের শট বোলারের মাথায় এতো জোরে আঘাত করলো যে, এরপর উড়ে গিয়ে হলো ছয়! অদ্ভুত এ ঘটনা ঘটেছে নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া পঞ্চাশ ওভারের টুর্নামেন্টে।

    অকল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জিত রাভালের শট ক্যান্টারবেরি বোলার অ্যান্ড্রিউ এলিসের মাথার সামনের দিকে আঘাত করে গেছে লং-অনের সীমানার বাইরে। অভিঘাতের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মাঠে ফিরে আরও ছয় ওভার বোলিং করেছেন এলিস, এরপর নিজের নিয়মিত ব্যাটিং পজিশন ছয়ে খেলেছেনও। ক্যান্টারবেরি অধিনায়ক এলিস ‘কোনও অসুস্থতার লক্ষণ দেখাননি’ বলেও জানানো হয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের এক বিবৃতিতে। 

    ফোর্ড ট্রফির তৃতীয় প্রিলিমিনারি ফাইনালে অকল্যান্ড ইনিংসের ১৯তম ওভারে ঘটেছে এ ঘটনা। অকল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংসে এলিসের প্রথম ওভারে টানা দুই ছয় মারেন রাভাল, এর দ্বিতীয়টিই গিয়ে লাগে তার মাথায়। সঙ্গে সঙ্গেই এলিসের দিকে ছুটে যান রাভাল। আম্পায়ার প্রথমে চারের সঙ্কেত দিয়েছিলেন, পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদলে নেন। শেষ পর্যন্ত ৭ ওভার বোলিং করে ৫২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন এলিস। এর মাঝে আছে ১৪৯ রান করা রাভালের উইকেটও। 

    ‘কেউ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে অবশ্যই আপনার প্রাথমিক উদ্বেগ হবে তাকে নিয়েই। অ্যান্ড্রিউ নিজে আঘাত পেল কিনা, আমি সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় ছিলাম’, বলেছেন রাভাল। এলিসের প্রশংসাও করেছেন তিনি, ‘শুরুতে খুব বড় আঘাত মনে হলেও সে চোট পায়নি, সে খুবই দৃঢ় একজন। আর তাকে ম্যাচ শেষ করতে দেখাটা আমার জন্য দারুণ স্বস্তির। আমি আশা করি, পরবর্তীতে এটার কোনও প্রভাব তার শরীরে পড়বে না। কারও জন্যই ম্যাচের মধ্যে এমন অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।’ 

    শেষ পর্যন্ত সুখকর অভিজ্ঞতা হয়েছে অবশ্য রাভালদেরই। এলিসদের ক্যান্টারবেরিকে ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পরের রাউন্ডে গেছে অকল্যান্ডই।