'আমি পেছনের দরজা দিয়ে বের হওয়ার ছেলে না'
বেশ বড়সড় একটা বোমাই ফাটিয়েছিলেন। প্রচারমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে নোংরা অনেক কিছুই লেখা হয়, এমন বিস্ফোরক মন্তব্যও করেছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। আজ অবশ্য স্বীকার করলেন, আবেগতাড়িত হয়ে অনেক কিছুই বলে ফেলেছেন। কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে সেটার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ তখন মাত্র শেষ হয়েছে। মিরপুরের একাডেমি মাঠে খালেদ মাহমুদ জমে থাকা সব অভিমান উগড়ে দিলেন। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকতে চান না এমন কথাও বলেছিলেন। তবে তার চেয়েও বড় চমক ছিল গণমাধ্যম নিয়ে বলা তাঁর কথা। মিডিয়া ‘ফিশি’ কাজ করছে, এমন মন্তব্যও করেছিলেন। পরে সেসব নিয়ে কম কথা হয়নি। অবশেষে সেসব মন্তব্য থেকে আজ কিছুটা হলেও সরে এলেন খালেদ মাহমুদ।
‘ক্রিকেটে অবশ্যই গণমাধ্যমের অবদান অনেক আমি এটা সবসময়ই স্বীকার করতেই হবে। আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ক্রিকেটকে পরিচিত করার জন্য তাদের অবদান অনেক। যা বলেছি সেটার জন্য আমি অনেক দুঃখিত। আসলে আবেগ থেকে বলে ফেলেছিলাম, কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য বলিনি। যেটা বললাম আমি পেছনের দরজা দিয়ে বের হওয়ার ছেলে না।’
কিন্তু ওই সময় বাংলাদেশ দলে না থাকা নিয়ে যে কথা বলেছিলেন, সেটাও কি আবেগের? এই মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগের দল শাইনপুকুরের কোচের দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদ সেটাও স্বীকার করে নিলেন প্রচ্ছন্নভাবে।
বেশ কিছু ব্যাপার নিয়ে আমি আসলে ক্লান্ত। কথাগুলো বললে বোঝাবে আমি অনেক বেশি অভিযোগ করছি। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। টিমের রেজাল্ট যেহেতু ভাল হয়নি, অনেকেই বিদেশী কোচ চাইছে। আমিও চাই ভাল কোচ আসুক..বেটার হোক। বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাক। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা নিতে পিছপা হইনি। সব সম্নয় চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দিতে। এত বেশি কথা হয়েছে এই সিরিজটাতে আমিও হয়তো বেশি প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ফেলেছি, আবেগী হয়ে গিয়েছিলাম। গণমাধ্যম অনেকেই হয়তবা খুব পার্শিয়ালি জিনিসটা নিয়েছে।’
নিজে অনেকবারই এমন সংকটের মুখে পড়েছেন। প্রতিবারই লড়াই করে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন। এবার কি চলে গেলে সেটা তাঁর স্বভাববিপরীত হবে না? খালেদ মাহমুদ বললেন,
‘সেটা তো আমি কোনোসময়ই যেতে চাই না। আমি সবসময় ফাইট করি। ফাইট করতে পছন্দ করি। আমি জানি যে একটা সিরিজ আমরা ভাল করিনি। প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা খেলতে পারিনি। যেই রেজাল্ট হয়েছে এটা প্রত্যাশিত ছিল না।’
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে টেনে আনলেন মাশরাফিকেও।
‘মাশরাফী আমাকে অনেকদিন ধরেই চেনে…মাশরাফীর ছোটবেলা আমার সাথে বড় হওয়া। তো আমি প্রেসার নিতে পছন্দ করি কঠিন সময়ে ফাইট করতে চাই এটাই আমার বৈশিষ্ট্য।’