তামিম-আকমলের গড়ে দেওয়া ভিতে পেশোয়ারকে জেতালেন বোলাররা
পেশোয়ার জালমি ১৭৬/৬, ২০ ওভার (আকমল ৫৩, তামিম ৩৯, হাফিজ ৩০, স্মিথ ৩০, ফাহিম ২/৩৭, সামি ১/২০)
ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ১৪২/৯, ২০ ওভার (ফাহিম ৫৪*, প্যাটেল ২৩, উমাইদ ৪/২৩, ইবতিশাম ৩/২০)
ফল- পেশোয়ার ৩৪ রানে জয়ী
প্রথম ম্যাচে তামিম করেছিলেন ১১ রান, কামরান আকমলের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটি টিকেছিল ১১ বল, উঠেছিল ৪ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে উল্টো চিত্র, দুইজনের জুটিতে এল ৬৯ রান, ৭.৩ ওভারেই। আকমল-তামিমের গড়ে দেওয়া ভিতে ১৭৬ রান করা পেশোয়ার পরে উড়িয়েই দিয়েছে ইসলামাবাদকে। তামিমদের দল পেল পাকিস্তান সুপার লিগে এবারের আসরে প্রথম জয়ের দেখা।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চার মেরে শুরুটা করেছিলেন তামিমই। প্রথম ছয় মেরেছেন আন্দ্রে রাসেলের বলে, ৪র্থ ওভারের শেষ বলে, ফাইন লেগের ওপর দিয়ে পুল করে। এ ম্যাচ দিয়েই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন ডোপ-পাপে নিষিদ্ধ থাকা রাসেল, তবে তার প্রত্যাবর্তনের ওভারে আকমল-তামিম মিলে নিয়েছেন ২১ রান, যা রাসেলের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খরুচে ওভার।
আউট হওয়ার আগে চলেছে কামরান ঝড়, তামিম ছিলেন মোটামুটি নিশ্চুপই। আকমলের উইকেটের পর খোলস ছেড়ে বেরিয়েছেন তামিম, সামিত প্যাটেলকে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মেরেছেন ছয়। রাসেলের অফস্টাম্পের বাইরের স্লোয়ারে পয়েন্ট দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন তামিম, ২টি ছয়ের সঙ্গে ২টি চারে ২৩ বলে ৩৯ রান করে। এরপর ডোয়াইন স্মিথ ও মোহাম্মদ হাফিজের ৩০ রানের দুইটি ইনিংসে ১৭৬ রানে পৌঁছায় পেশোয়ার।
১৭৭ রানের লক্ষ্যে দাঁড়াতেই পারেনি ইসলামাবাদ। উমাইদ আসিফ শুরুতে ধসে দিয়েছেন টপ অর্ডার, ৫০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছে রুম্মান রাইসের ইসলামাবাদ। সামিত প্যাটেল, শাদাব খান, আন্দ্রে রাসেল- শেষের দিকে কাউকেই ঝড় তুলতে দেননি ২০ বছর বয়স্ক লেগস্পিনার ইবতিশাম শেখ। নিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি নিয়েছেন ২০ রানে ৩ উইকেট।
তাদের ব্যাটিংয়ের একমাত্র হাইলাইটস ফাহিম আশরাফের ৩০ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। তবে যথেষ্ট হয়নি সেটা। পেশোয়ারের কাছে হারতে হয়েছে বড় ব্যবধানেই।