হেড কোচের ভূমিকাকে 'পিতৃসুলভ' মনে করছেন ওয়ালশ
জাতীয় দলের হেড কোচের পদে ‘পিতৃসুলভ’ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করছেন নিদাহাস ট্রফির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোর্টনি ওয়ালশ। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর শূন্য থাকা পদে খন্ডকালিন এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের বোলিং কোচকে। দলের সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্বটা নিয়ে চিন্তাও করতে বলছেন তিনি।
ঠিক এ মুহুর্তে বাংলাদেশ দলের মাঝে ধারাবাহিকতার একটু অভাব আছে বলে মনে করছেন ওয়ালশ। সেটা ফিরিয়ে আনাটাই মূল চ্যালেঞ্জ এখন তার কাছে, ‘আমাদের একটু ধারাবাহিকতার অভাব আছে। এই দলে মেধাবি ক্রিকেটারের অভাব নেই। সবার কাজের হারও দারুণ। ধারাবাহিকতা পেলেই আমরা খুশি হবো। এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, এবং এটার জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রমও করে যাব।’
খন্ডকালিন দায়িত্বটা সবসময়ই একটু ভিন্ন, পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়নের জন্য সময়ও মেলে খুবই কম। ওয়ালশ অবশ্য এটাকে সমস্যা মনে করছেন না, ‘এটা তেমন কঠিন না। কোচিং স্টাফের একজন হিসেবে শুধু আমি একটা পদ পূরণ করছি। সুযোগটা এসেছে। এটার সঙ্গে আমি দায়িত্বটাও গ্রহণ করেছি।’
‘এটা একটা পিতৃসুলভ দায়িত্ব হবে, তাদেরকে আত্মবিশ্বাস দেওয়া। ফর্ম ফিরিয়ে আনতে সবাই যাতে অতিরিক্ত পরিশ্রম করে, আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে।’
‘সবাইকে এটা ভাবিয়ে তুলতে হবে, প্রত্যেকেরই দলে একটা ভূমিকা আছে। সবাই যাতে দলের জন্য খেলে, যেটা দরকার সেটা করে। আমার মূলমন্ত্র এখন এটাই।’
কোনও জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্বের অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম হচ্ছে ওয়ালশের। তবে ক্রিকেটারদের এর আগে সামলিয়েছেন তিনি, ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। দায়িত্ব পেয়ে ফিরে আসছে সে স্মৃতিও, ‘এটা আপনাকে দায়িত্বের ভার দেবে। আপনি ক্রিকেটারদের একটা গ্রুপ পাবেন, তারা ঠিক কাজটা করছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে আপনাকে। আপনি কী অর্জন করতে চান, এটা সেটার সম্পর্কেও একটা স্বচ্ছ ধারণা দেবে।’
‘অধিনায়কত্বের দায়িত্বটাও আমি প্রথমে পেয়েছিলাম খন্ডকালিন হিসেবেই। সেবার যে সাফল্য পেয়েছিলাম আমরা, সেটা উপভোগ করেছিলাম। যদি সেটা এখানে টেনে আনতে পারি, সেই চালিকাশক্তি ও গতিশীলতা আনতে পারি, তাহলেই আমি খুশী হবো। এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা ব্যাপার হচ্ছে, তবে আমি ম্যাচ ধরে ধরে এগুব।’
দায়িত্ব পেয়ে খুশি ওয়ালশ থাকতে চান ইতিবাচকও, ‘শ্রীলঙ্কায় বেশ একটা পরীক্ষা আছে আমাদের। আমরা যাতে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে পারি, সেটার জন্য নিজের সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করবো আমি।’