• নিদাহাস ট্রফি ২০১৮
  • " />

     

    'সীমিত ওভারের দলে আসতে মুমিনুলকে অসাধারণ কিছু করতে হবে'

    'সীমিত ওভারের দলে আসতে মুমিনুলকে অসাধারণ কিছু করতে হবে'    

    নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই সীমিত ওভারের দলে সুযোগ করে নেবেন মুমিনুল হক, এমন ধারণা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের। তবে এজন্য তাকে অসাধারণ কোনও পারফরম্যান্স দেখাতে হবে বলে মনে করেন তিনি। 

    নিদাহাস ট্রফির দলে পুরোনো ও ‘অভিজ্ঞ’ বেশ কয়েকজন ডাক পেয়েছেন। নির্বাচকরা সে তালিকায় রাখেননি ছয়টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা মুমিনুলকে। এখানে নির্বাচকদের চিন্তাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ বলে বলছেন মুমিনুলের শিক্ষক সালাউদ্দিন, ‘আমার মনে হয় যে, যেহেতু সে সুযোগ পায়নি, তার মানে সে যোগ্য না। যখন সে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে জায়গাটায় ঢুকবে সেটা আরও অনেক ভাল হবে। এখানে আমরা কী চিন্তা করছি, সমর্থকরা কী চিন্তা করছে- সেটা আসলে কোনো ব্যাপার না। ব্যাপার হচ্ছে আপনার দল কী চিন্তা করে এবং সে অসাধারণ কিনা।’

    ‘তাকে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেই দলে জায়গা পেতে হবে। ওয়ানডে ফরম্যাট হোক বা টি-টোয়েন্টি হোক। যেহেতু টেস্টে ভালো করছে, আমি মনে করি আগামী দুই বছরের মধ্যে সে তিন ফরম্যাটেই ভালো করবে।’

    টেস্ট দলে মাঝে মুমিনুল ছিলেন বেশ আলোচিত। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্টে পারফর্ম করে ঝলক দেখিয়েছেন, তবে সীমিত ওভারে মুমিনুল এখনও ব্রাত্যই। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের স্কোয়াডে থাকলেও পরে নির্বাচকরা ব্যাখ্যা করেছিলেন, দলের অন্যান্য ক্রিকেটারদের চোটের কারণেই মুমিনুলকে রেখে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। ২০১৫ সালে ক্যারিয়ারের ২৬টি ওয়ানডের শেষটি খেলেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০১৪ সালে। 

     

     

    এই দুই ফরম্যাটে তাকে নিয়ে নির্বাচকদের ‘সন্দেহ’ দূর করার তাগিদ দিচ্ছেন সালাউদ্দিন, ‘যেহেতু তার প্রতি নির্বাচকদের সন্দেহ আছে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে, আমার মনে হয় তাকে এই দুই ফরম্যাটে এখন সুযোগ না দিলে কোনো সমস্যা নেই। যখন সে নিশ্চিত হবে, তার জন্য এই ফরম্যাটগুলো ঠিক আছে, আমাদেরও কোনো সন্দেহ থাকবে না, তখন আমার মনে হয় সে দলের জন্য আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে। সন্দেহ নিয়ে খেলার চেয়ে না খেলায় ভাল।’ 

    ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গতবারের চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপের কোচ সালাউদ্দিন নিজেও আলোচনায় আসেন কয়েকদিন পরপরই। একসময় জাতীয় দলের সহকারি কোচ ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারও সমস্যা নিয়ে প্রায়ই ছুটে যান তার কাছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার মতো সামর্থ্য তার হয়নি বলেই মনে করেন তিনি, ‘না, আসলে আমার মনে হয় আমার ওই সামর্থ্যও নাই, অত গুণও নাই জাতীয় দলের কোচ হওয়ার মতো। আমি সত্যিই বলছি যে, আমাকে ওই জায়গায় যেতে হলে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে, আরও অনেক কিছু শিখতে হবে, জানতে হবে। সেই সাথে নিজের দক্ষতাও বাড়াতে হবে। আমার নিজের উন্নতির জন্যে অনেক কিছু করতে হবে। আমি হয়তো আরও ৫-১০ বছর পর এসব নিয়ে চিন্তা করতে পারি। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার মতো সামর্থ্য আমার নেই।’

    তবে যে কোনও ক্রিকেটারকে সাহায্য করতে আপত্তি নেই তার, ‘দেখুন আমার পিছনে লেখা কোচ। লেখা নেই আমি কোন দলের কোচ। তো আমার দায়িত্ব, ছেলে বা মেয়ে যে-ই আসুক সাহায্য নিতে আমি তো না করতে পারবো না।’

    ‘কেউ যদি আমার কাছ থেকে একটুও সহায়তা পায়, তাতে আমার মনে হয় না নিজের খারাপ লাগার কোন কারণ আছে। এবং যেহেতু আমি কোচ, আমার এটা পেশা। তো ক্রিকেটাররাও শিখতে এসেছে, অন্য কিছু করতে না। সেদিক থেকে আমি যদি কাউকে একটু সাহায্য করতে পারি, সেটা তো কারোর ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না।’