সবার সহায়তা পাবেন বলে নিশ্চিত ওয়ালশ
নিদাহাস ট্রফিতে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পাবেন বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছেন অন্তর্বতীকালিন কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। এ দায়িত্ব পেয়ে নিজেকে রোমাঞ্চিত মনে করছেন তিনি। সকলে মিলে কাজ করলে নতুন পথে যাত্রাটা বাংলাদেশের জন্য ভাল হবেই বলে ধারণা তার।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর হেড কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদ সৃষ্টি করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল খালেদ মাহমুদ সুজনকে। এরপরও স্থায়ী কাউকে খুঁজে না পাওয়ায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়ালশকে। সবকিছু বেশ তাড়াহুড়োর মধ্য দিয়েই হয়েছে বলে মনে হচ্ছে ওয়ালশের।
‘শেষ কিছুদিনে সবকিছুই বেশ দ্রুত ঘটে গেছে। এখন ভিন্ন একটা পরিস্থিতি, যেহেতু এখন একজন সবকিছু সামলানোর ও নিশ্চিতকরণের দায়িত্বে আছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আমি কথা বলার চেষ্টা করবো, কী করা উচিৎ সেটা নিশ্চিত করতে’, দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ওয়ালশ।
‘আমি এ অবস্থানে আসতে পেরে রোমাঞ্চিত। আমি নিশ্চিত- বিসিবি, এর প্রেসিডেন্ট, পরিচালক, সিনিয়র-জুনিয়র ক্রিকেটার- সবার কাছ থেকে আমি সহায়তা পাব। সবাই যখন আলোচনায় আসবে এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব, এখান থেকে আমরা নতুন যাত্রাটা কিভাবে শুরু করতে পারি তার পরিকল্পনাটা করা যাবে।’
নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়েই আছেন তিনি, ‘বোর্ড আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছে, আমি তাতে বেশ রোমাঞ্চিত। এটা প্রত্যেক কোচেরই স্বপ্ন। আমি জানি, এটা একটা অন্তর্বতীকালিন দায়িত্ব। ম্যাচ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমি আমার সেরাটাই দিব। চ্যালেঞ্জ নিতে আমি মুখিয়ে আছি।’
কোচ হিসেবে নিজের নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি, ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকবে, আমরা সেসব কিভাবে অর্জন করতে চাই, কিভাবে করতে চাই সেসব নিয়ে। এরই মাঝে আমরা আলোচনা শুরু করে দিয়েছি। শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে সবাই “ফাইন-টিউন”-এই থাকবে। এ সফরে যতো বেশি সম্ভব ম্যাচ জেতা আমাদের লক্ষ্য। ফাইনালে পৌঁছাতে পারলে ব্যাপারটা দারুণ হবে। তবে আপাতত আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগুতে চাই।’
৬ মার্চ শুরু হওয়া নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভারতের সঙ্গে। ডাবল রাউন্ড-রবিন লিগ পদ্ধতিতে হবে এ টুর্নামেন্ট।