বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর 'চ্যালেঞ্জ'
ঘরের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজে দলে জায়গা হয়নি। তাসকিন আহমেদকে অবশ্য খুব বেশিদিন দলের বাইরে থাকতে হলো না, ডাক পেয়েছেন নিদাহাস ট্রফিতেই। শ্রীলংকায় সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে তাসকিন জানালেন, নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের ওঠার আশা করছেন বাংলাদেশ দলের সবাই।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলংকার কাছে হারের পর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হতাশাই সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। নিদাহাস ট্রফিতে তাই ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন তাসকিন, ‘শ্রীলংকায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে খেলতে হবে। যে ভুলগুলো হয়েছে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি গত কয়েকদিন। আমার বিশ্বাস আমাদের সে সামর্থ্য আছে ভালো করার ও ঘুরে দাঁড়ানোর। ইনশাআল্লাহ সেখানে যদি ভালভাবে শুরু করতে পারি তাহলে সবকিছু হয়ে যাবে। ফাইনাল খেলার আশা আমাদের মধ্যে আছে, আমাদের সবার মধ্যেই আছে। শ্রীলঙ্কায় আগেও একটা সিরিজ খেলেছি। খুবই ‘ট্রু উইকেট’ হয়, ব্যাটিং সহায়ক উইকেট হয়। যদিও কঠিন চ্যালেঞ্জ ভারত আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, এর মধ্যেও আমাদের সেরাটা আমরা দিব। বোলিং বিভাগ গতবারের চেয়ে ভাল করবে, ব্যাটিংও ভাল করবে।’
পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে ভালো ফলাফলের স্বপ্নই দেখাচ্ছেন তাসকিন, ‘সত্যি কথা বলতে একমাত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারব আমার পরিশ্রমটা। আল্লাহর রহমতে বেশি দিন দলের বাইরে থাকতে হয়নি। এক সিরিজ পরই দলে ফিরেছি। এবার ১২০ ভাগ দেব, ম্যাচ জেতানোর চেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ ভাল কিছুই হবে। কারণ টি-টোয়েন্টিতে "অ্যাকুরেসি" আর "এক্সিকিউশন" বড় জিনিস। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে সফল হতে পারব। এটা নিয়ে গত কয়েকদিন অনেক কাজ করেছি। আমার বিশ্বাস এবার ভাল কিছু হবে।'
তাসকিনের মতো দলে ফিরেছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানও। শেষ জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছরের জানুয়ারিতে। ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনাল খেলার কথা শোনা গেলো সোহানের কণ্ঠেও।
সোহানের কাছে ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলের চাওয়াটাই অবশ্য মুখ্য, ‘যে জিনিসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো আমাদের ভালো খেলা। লক্ষ্য থাকবে যেন দল হিসেবে আমরা ভালো করতে পারি এবং ফাইনাল খেলতে পারি। শেষ কয়েকটা বছর ধরে ভালো খেলছি। হয়তো বা শেষ সিরিজটা আমাদের খারাপ গেছে তাই সবার মধ্যে সেই চ্যালেঞ্জটা আছে যেন আমরা ঘুরে দাঁড়িয়ে ভাল খেলতে পারি। আমার মনে হয় দল হিসেবে ভাল কিছু করার লক্ষ্য থাকবে। আমার কাছে ব্যক্তিগত লক্ষ্য বলে কোন কথা নেই। লক্ষ্য থাকবে দল যেটা চাইবে সেটা যেন করতে পারি।’
তাসকিন-সোহানের মতো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার কথা বলছেন পেসার রুবেল হোসেনও, 'পেসারদের জন্যও টুর্নামেন্টটা চ্যালেঞ্জিং। টি-টোয়েন্টি সংক্ষিপ্ত সংস্ক্রণের খেলা এবং আপনারা জানেন এই ফরম্যাটে চাপও বেশি থাকে। আমার কাছে মনে হয় শ্রীলঙ্কার উইকেট খুব সুন্দরই হবে। তাই বোলারদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং হবে। আমাদের দেখে শুনে বোলিং করতে হবে।'