'সীমা'টা অতিক্রম কে করলেন?
পঞ্চম দিনে টেস্ট টিকেছে মাত্র ২২ বল। তবে ডারবান টেস্টের উত্তাপের আঁচ লাগছে এখনও। লড়াইটা অবশ্য ব্যাটে-বলের নয়, লড়াই কথার, লড়াই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের। দুই প্রধান চরিত্র এখানে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ডেভিড ওয়ার্নার, দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কুইন্টন ডি কক। ঘটনার মূলমঞ্চ- কিংসমিডের ড্রেসিংরুমের সিঁড়ি ও সামনের জায়গা। তবে দুইজনের বাদানুবাদ নিয়ে অবশ্য দুই রকমের কথা বলছেন দুই অধিনায়ক। সব মিলিয়ে যেন হারিয়ে যাচ্ছে ডারবান টেস্টের রোমাঞ্চই!
ফ্যাফ ডু প্লেসি বলছেন, দোষ দুই পক্ষেরই, দুইজনই দুইজনকে ‘ব্যক্তিগত ব্যাপারে’ কথা দিয়ে আক্রমণ করেছেন। যেটা শুরুর পরই আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে শেষ হয়ে যাওয়ার দরকার ছিল। আর স্টিভ স্মিথ অবশ্য তার দলের ক্রিকেটারদের কোনও দোষ দেখছেন না। তার মতে, ডি ককের ‘ব্যাক্তিগত আক্রমণে’ ‘আবেগ’-এর বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছেন ওয়ার্নার।
‘আমি শুনেছি, মাঠে ব্যক্তিগত অনেক কিছুই ঘটেছে। এটা দুই পক্ষ থেকেই হয়েছে। কে শুরু করেছে- আমি জানি না’, ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ডু প্লেসি। ‘যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে এটা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেওয়া উচিৎ ছিল। আম্পায়ারদের এখানে বড় ভূমিকা আছে, তাদেরকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি না হয়।’ তবে অস্ট্রেলিয়ানদের আচরণে ‘আতঙ্কিত’ হয়ে আম্পায়াররা মাঝে মাঝে পদক্ষেপ নেন না বলেও দাবি করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে- ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে এমনই।
আর স্টিভ স্মিথ দাবি করছেন, ‘এমন সময় আসে, যখন মানুষ আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়, তখন তাদের ভেতর থেকে ভালটা বের হয়ে আসে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এটা অংশ, এমন পরিস্থিতে খেলতে গেলে এটা হয়।’
‘বিরতিতে যা হয়েছে সেটা দুঃখজনক, দুই পক্ষের জন্যই। তবে অবশ্যই কুইন্টন বেশি ব্যক্তিগত আঘাত করেছে, ডেভিকে (ওয়ার্নার) আবেগী প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য করেছে। আমার মনে হয়, এটা দুই পক্ষ থেকে হয়নি। মাঠে ব্যক্তিগত আক্রমণ ঠিক না, আমার মতে এটাই সীমা অতিক্রম করা।’
ক্রিকেটডটকমডটএইউ অবশ্য বলছে, ডি কক ওয়ার্নারের স্ত্রীকে নিয়ে কথা বলাতেই খেপেছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
এসব বিষয়ে ডারবানে ক্রিকেটের প্রদর্শনী ক্ষতিগ্রস্থ হবে না বলেই আশা করছেন ডু প্লেসি। ওয়ার্নার ও ডি কক ব্যাপারটি সমাধান করে ফেলেছেন কিনা, সেটা জানা না গেলেও ম্যাচশেষে দুইজন হাত মিলিয়েছেন। আর ডি কককে নিয়ে ডু প্লেসি বলছেন, ‘কুইনি ঠিক আছে। বেশিরভাগ সময়ই আপনি তার কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাবেন না। এখন যদি আপনি তার দিকে তাকান, তাহলে মনে হবে কিছুই হয়নি।’
কিছু হোক বা না হোক, দিনশেষে ক্রিকেটের ক্ষতিটা না হলেই হয়!