• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে বিদায় বললেন সাদারল্যান্ড

    অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটকে বিদায় বললেন সাদারল্যান্ড    

    প্রায় ১৭ বছর দায়িত্ব পালনের পর সরে দাঁড়ালেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড। কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর বহির্গমন মিছিলের সর্বশেষ সংযোজন তিনি। সিএ-র চেয়ারম্যান্ড ডেভিড পিভারের সঙ্গে প্রায় ২৪ মাসের ‘সতর্ক আলোচনা’র পর এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। 

    ২০০১ সালে প্রধান নির্বাহী হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের বেশ কিছু উত্থান পতনের সাক্ষী ছিলেন সাদারল্যান্ড। তার আমলেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের চূড়া থেকে পতন হয়েছে, আবার উঠেছে শীর্ষেও।  কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের পর খেয়েছে বড়সড় ধাক্কা। তার সময়েই ২০১১ সালে বিগ-ব্যাশ লিগ চালু, ২০১৫ সালে দিবা-রাত্রির টেস্ট, ২০১৩ সালের পর এ বছরও আকর্ষণীয় ব্রডকাস্টিং স্বত্ব বিক্রি করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। 

    ২০০৩ সালে শেন ওয়ার্নের ড্রাগ কেলেঙ্কারি, ২০১৪ সালে ফিলিপ হিউজের মৃত্যুর মতো আকস্মিক ঘটনারও মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কোচ মিকি আর্থারকেও সরে দাঁড়াতে হয়েছিল স্বল্পতম সময়ে। আইসিসির বিগ থ্রি-এর কান্ডও ঘটেছিল এ সময়, যার অংশ ছিল অস্ট্রেলিয়া।

    কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সরে দাঁড়িয়েছেন হেড কোচ ড্যারেন লেম্যান, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হেড অব ইন্টেগ্রিটি ইয়ান রয়কে। সে তালিকাতেই যুক্ত হলেন সাদারল্যান্ড। 

    সাদারল্যান্ডের দায়িত্ব পালনের লম্বা সময়ে দারুণ কাঠামো পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান মেয়েদের ক্রিকেট। এসবের সঙ্গে এখনকার ছেলে-মেয়েদের ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসাটাই যাওয়ার সময় তৃপ্তি দিচ্ছে সাদারল্যান্ডকে। 

    “ব্যাপারটা আসলে শিশুদেরকে নিয়ে। পরের প্রজন্মের জন্য একটা টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করে যেতে হবে। বিগ ব্যাশ ও এর অনুষঙ্গ হিসেবে যা এসেছে, তা নতুন মানুষকে এই খেলার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের জন্য এটা দারুণ সাফল্যের এক গল্প। তবে এটা একটা অংশ মাত্র, পুরো চিত্রটায় আছে সেইসব ছেলে-মেয়েদের জন্য ক্রিকেটের সুযোগ করে দেওয়া, যারা এই দেশের ভবিষ্যত। রাজ্য ও অঞ্চলগুলোর জন্য এইসব সুবিধা প্রদান করাটা গুরুত্বপূর্ণ”, বলেছেন সাদারল্যান্ড।  

    প্রধান নির্বাহী হিসেবে মোট ছয়জন চেয়ারম্যানের সঙ্গে কাজ করেছেন সাদারল্যান্ড। বর্তমান চেয়ারম্যানের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হলেও, সাদারল্যান্ড চলেই যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে বলতে গেলে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ‘মুখ’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তার বিদায়ই বলে দিচ্ছে, সময় কম গড়ায়নি, নতুন মুখের আগমনটাও হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন সময়ের ব্যাপার!