চার বলে চার উইকেটে মাশরাফির ইতিহাস
আবাহনী ২৯০/৬ (শান্ত ১৩৩, মিঠুন ৪৬, সালমান ২/৪০, আল-আমিন ২/৫০)
অগ্রণী ব্যাংক ২৭৯ অল-আউট, ৪৯.৫ ওভার (নাফিস ১২১, দার ৬২, ধীমান ৪৬, মাশরাফি ৬/৪৪)
ফল- আবাহনী ১১ রানে জয়ী
লিস্ট ‘এ’-তে চার বলে চার উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় ঢুকে গেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফতুল্লায় অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে ম্যাচে এই কীর্তি গড়েছেন আবাহনীর পেসার, শেষ ওভারের ২য় থেকে ৫ম বলে তিনি আউট করেছেন চারজনকে। লিস্ট ‘এ’-তে এই কীর্তি এর আগে আছে মাত্র সাতজনের। অ্যালান ওয়ার্ড, শন পোলক, ভাসবার্ট ড্রেকস, লাসিথ মালিঙ্গা, ডেভিড পেইন, গ্রাহাম নেপিয়ার ও শ্রীকান্ত মুন্ধে এর আগে গড়েছিলেন এই কীর্তি।
অগ্রণী ব্যাংকের ইনিংসের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন মাশরাফি। প্রথম বলে রাজ্জাক সিঙ্গেল নিয়ে দিয়েছিলেন ধীমান ঘোষকে, সেই ধীমানই প্রথমে ক্যাচ দিয়েছেন। পরের বলে ক্যাচ দিলেন রাজ্জাক। এরপর শফিউল- মাশরাফির লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক হয়ে গেল। তারপর উইকেটকিপার মিঠুনকে ক্যাচ দিলেন ফজলে রাব্বী। চার বলে চার উইকেট উইকেট হয়ে গেল মাশরাফির!
তার ‘ডাবল-হ্যাটট্রিকে’ই শেষ হয়ে গেছে অগ্রণী ব্যাংকের জয়ের আশা, যা ২৭ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে জাগিয়েছিলেন ধীমান ঘোষ। এবারও ম্লান হয়ে গেছে শাহরিয়ার নাফিসের দারুণ সেঞ্চুরি, নাজমুল হাসান শান্তর সেঞ্চুরিটাই পরিণত হয়েছে ম্যাচ জেতানো ইনিংসে। তবে এ দুইজনের কাছ থেকে সব আলো কেড়ে নিলেন মাশরাফি, শেষের ওই ৪ বলে!
টসে জিতে ফতুল্লায় ব্যাটিংয়ে নেমেছিল আবাহনী। ৬৪ রানের ভেতর দুই ওপেনার এনামুল হক ও সাইফ হাসান ফিরলেও তিনে নামা নাজমুল ছিলেন একদিকে। শেষ পর্যন্ত ১২৩ বলে অপরাজিত ছিলেন ১৩৩ রানে, ১১ চার ও ৩ ছয়ে। লিস্ট ‘এ’-তে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি, ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসও। নাসির ও মোসাদ্দেক মাঝে ইনিংস বড় করতে পারেননি, তবে মোহাম্মদ মিঠুনের ৩৮ বলে ৪৬ রানের দ্রুতগতির ইনিংসে আবাহনী পৌঁছায় ২৯০ রানে।
অগ্রণী ব্যাংকের শুরুটাও ছিল আবাহনীর মতোই, ৬৩ রানে ২ উইকেট। তবে ছিলেন ওপেনার শাহরিয়ার নাফিস। আগের ম্যাচে ৯৯ রানের আক্ষেপ সঙ্গী হয়েছিল তার, এবার সেঞ্চুরিই পেলেন। রাজা আলি দারের সঙ্গে ৩ উইকেটে গড়লেন ১৪৬ রানের জুটি। তবে নিজের ইনিংসে একটু ধীর ছিলেন রাজা দার, ৬২ রান করেছেন ৮০ বলে।
১৩ চার ও ৩ ছয়ে ১১৯ বলে ১২১ রান করে রাজার পরই আউট হয়েছেন নাফিস। ৩৬ রানের ভেতর ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল অগ্রণী ব্যাংক। সেই চাপ বেশ আলগা করে এনেছিলেন ধীমান ঘোষই, ৪ চার ও ২ ছয়ে ২৭ বলে করেছেন ৪৬।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। আব্দুর রাজ্জাক একটা সিঙ্গেল নিয়ে দিলেন ধীমান ঘোষকে। এরপরই মাশরাফি ইতিহাসে ম্লান হয়ে গেলেন বাকি সবাই।