শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবছেন মাহমুদউল্লাহ
বেঙ্গালুরু। ২০১৬। আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি। বিপক্ষ ভারত। আপনার নিশ্চয়ই মনে পড়ছে। আলাদা করে আর কিছু বলার দরকার আছে? ২ বছর হয়ে গেল, টেনেহিঁচড়ে সে ম্যাচটা স্মৃতির স্তুপ থেকে কেন বের করা হঠাৎ? কারণ আছে নিশ্চয়ই, সেই প্রতিপক্ষর সঙ্গে যে আবার একই ফরম্যাটে নামছে বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ওই বেঙ্গালুরুতেই, নিদাহাস ট্রফিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কাল নামছে আবার। তবে সে ম্যাচের কথা তোলায় খানিকটা বিরক্তই যেন হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
‘ওই ম্যাচ ওখানেই শেষ। ওখানেই থমকে আছে। ক্রিকেটে দূর্ঘটনা হতেই পারে। ওটা নিয়ে বসে থাকলে তো আর চলবে না। তবে ওখান থেকে কিছু শিখতে পারলে সেটা কাজে দেবে। এটাই জরুরি’, বেঙ্গালুরুর ম্যাচটা মনে করতেই চান না মাহমুদউল্লাহ।
ভাবতে চান না প্রতিপক্ষ কারা, বা প্রতিপক্ষ দলে কে আছেন কে নেই- সেসব নিয়েও। নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, মাহেন্দ্র সিং ধোনি, হারদিক পান্ডিয়া, কুলদিপ যাদব, জাসপ্রিত বুমরাহদের মতো প্রথম সারির বেশ কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারই নেই নিদাহাস ট্রফির দলে। আইসিসি র্যাংকিংয়ের ৮ নম্বর দল শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম ম্যাচে হোঁচটও খেয়েছে তিন নম্বরে থাকা ভারত।
‘প্রথম পছন্দের অনেকে না থাকলেও ভারত দারুণ একটি দল। তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সমীহ আছে আমাদের। আমরা শুধু নিজেদের খেলাটা খেলতে চাই’, বলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ‘আমরা আলোচনা করেছি, যে জায়গাগুলোতে আমরা ভালো, সেগুলো যেন আমরা ঠিকমত করতে পারি। যদি নিজেদের স্কিলগুলো দেখাতে পারি, আশা করি ভালো করব।’
বাংলাদেশ তাই শুধু ভাবছে নিজেদের নিয়েই। কোথায় শক্তিমত্তা, কোথায় দূর্বলতা- মাহমুদউল্লাহদের ভাবনাজুড়ে এসবই, ‘খর্বশক্তির ভারত ও শ্রীলঙ্কার জয় থেকে অনুপ্রেরণা- আমি সেরকম কিছু ভাবছি না। আমার ভাবনা শুধু ভালো ক্রিকেট খেলা নিয়ে।’
‘ছেলেদেরকে সেটিই বলছি আমি। নিজেদের প্রক্রিয়া ও শক্তির জায়গাটায় অটুট থাকতে হবে। অন্য কিছু না ভেবে, নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গাটুকু জানতে পারাটাই আমাদের জন্য ভালো হবে।’
এর আগেও বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, নিদাহাস ট্রফির মাধ্যমে একটা বার্তা দিতে চান তিনি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিজেদের পারফরম্যান্সের পাশে যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন আছে- মুছে ফেলতে চান সেটা। সাম্প্রতিক সময়টা ভাল যাচ্ছে না, এটা স্বীকার করে নিয়েই সামনে এগুতে চাচ্ছেন তিনি।