ডি ভিলিয়ার্স ক্ল্যাসিকের পর চাপে অস্ট্রেলিয়া
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট, ৩য় দিনশেষে
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ২৪৩ অল-আউট (ওয়ার্নার ৬৩, ব্যানক্রফট ৩৮, পেইন ৩৬, রাবাদা ৫/৯৬, এনগিডি ৩/৫১, ফিল্যান্ডার ২/২৫) ও ১৮০/৫* (খাওয়াজা ৭৫, মার্শ ৩৯*, রাবাদা ৩/৩৮)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ৩৮২ অল-আউট (ডি ভিলিয়ার্স ১২৬*, এলগার ৫৭, আমলা ৫৬, কামিন্স ৩/৭৯, মার্শ ২/২৬)
অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেট নিয়ে ৪১ রানে এগিয়ে
পোর্ট এলিজাবেথের দিনটাকে এক কথায় বলা যায়- ডি ভিলিয়ার্স ক্ল্যাসিকের দিন। লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে লড়ে যাওয়া ডি ভিলিয়ার্সের অপরাজিত সেঞ্চুরির পর কাগিসো রাবাদার বোলিং তোপে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ বেলায় খাওয়াজা-মার্শের জুটি ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার চাপটা বাড়িয়ে দিয়েছেন ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৮ উইকেট নেওয়া পেসার। ২য় ইনিংসে কার্যত এখন অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৪১ রান, বাকি ৫ উইকেট। ৩৯ রান করা মিচেল মার্শের সঙ্গে অপরাজিত আছেন টিম পেইন, ৫ রানে।
ডারবানের ১ম ইনিংসের মতো এবারও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে আউট করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংসে শেষ ৩ উইকেটে লিডটা ২০ থেকে ১৩৯ রানে নিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় তিন বছর পর সেঞ্চুরি পেলেন ডি ভিলিয়ার্স, ২০১৫ সালে কেপটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে শেষ করেছিলেন ১৪৮। গতকাল অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে, আজ নিজের জোনে পাওয়া সব বলেই খেলেছেন শট। ১১৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন প্যাট কামিন্সকে আপার কাটে চার মেরে। পুরো ইনিংসে ডি ভিলিয়ার্সের অসাধারণ নিয়ন্ত্রণের পরিচায়কই যেন এই শট। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৪৬ বলে ১২৬ রানে।
ভিলিয়ার্সকে দারুণ সমর্থন দিয়েছেন ভারনন ফিল্যান্ডার, ৮৫ বলে ৩৬ রান করে কামিন্সের বলে শর্ট লেগে ব্যানক্রফটের দারুণ রিফ্লেক্সের শিকার তিনি। কেশভ মহারাজ শেষ পর্যন্ত খেলেছেন ২৪ বলে ৩০ রানের ক্যামিও, তবে লায়নের বলে স্লগ করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে উসমান খাওয়াজার ক্যাচে পরিণত হতে পারতেন। মহারাজের শটে হতাশ ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স, রিপ্লে অবশ্য দেখিয়েছে বল হাত থেকে ছুড়ে দেওয়ার আগেই খাওয়াজা পা রেখেছিলেন ওপাশে। হ্যাজলউডকে বড় শটের চেষ্টাতেই মহারাজ পরে হয়েছেন বোল্ড। লুঙ্গি এনগিডি ডি ভিলিয়ার্সকে স্ট্রাইকে রাখার চেষ্টায় রান চুরি করতে গিয়েছিলেন, স্মিথের সরাসরি থ্রোতে হয়েছেন রান-আউট।
চা-বিরতির আগেই অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে তিন উইকেট, এর মাঝে আছে দুই ব্যাটিং স্তম্ভ ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের উইকেটও। রাবাদা-ক্ল্যাসিকে বোল্ড ওয়ার্নার, বল পড়ার পর ঘুরে ভেঙেছে ১৩ রান করা ওয়ার্নারের অফস্টাম্প। মহারাজের ফ্লাইট ও টার্নে এজড ১১ রান করা স্মিথ- বাঁহাতি স্পিনারদের বিপক্ষে তার দুর্দশা চলছেই। সিরিজে তিনবারই তিনি আউট হলেন তাদের বলে। এই দুইজনের মাঝে ধৈর্য্যচূতি ঘটেছে ৭০ বলে ২৪ রান করা ব্যানক্রফটের, এনগিডির ফুললেংথের বল তাড়া করতে গিয়ে বল ডেকে এনেছেন স্টাম্পে। রাবাদার বাইরের বলে খোঁচা মেরে ১ রানেই ইতি ঘটেছে শন মার্শের।
অস্ট্রেলিয়াকে আশা জুগিয়েছেন উসমান খাওয়াজা ও মিচেল মার্শ। দারুণ সব ড্রাইভে দৃঢ় ছিলেন খাওয়াজা, ডারবানে ১৪ ও ৬ রানের দুর্দশা ভুলে করেছেন ফিফটি। তারও হন্তারক হয়ে এসেছেন রাবাদা, ১৪টি চারে ৭৫ রান করা খাওয়াজাকে স্থবির করে দিয়েছেন স্টাম্পের সামনে, যেটা আর রিভিউ নেননি তিনি।