• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    ডি ভিলিয়ার্স-রাবাদায় সিরিজে ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা

    ডি ভিলিয়ার্স-রাবাদায় সিরিজে ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা    

    পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট
    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ২৪৩ অল-আউট (ওয়ার্নার ৬৩, ব্যানক্রফট ৩৮, পেইন ৩৬, রাবাদা ৫/৯৬, এনগিডি ৩/৫১, ফিল্যান্ডার ২/২৫) ও ২৩৯ অল-আউট (খাওয়াজা ৭৫, মার্শ ৪৫, রাবাদা ৬/৫৪,এনগিডি ২/২৪)
    দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ৩৮২ অল-আউট (ডি ভিলিয়ার্স ১২৬*, এলগার ৫৭, আমলা ৫৬, কামিন্স ৩/৭৯, মার্শ ২/২৬) ও ২য় ইনিংস ১০২/৪ (ডি ভিলিয়ার্স ২৮, আমলা ২৭, লায়ন ২/৪৪)
    ফল- দঃ আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী, ৪ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা 


    ডারবান যেন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য হয়ে উঠেছিল আপন ঘরে পরবাস! অস্ট্রেলিয়ায়র সঙ্গে প্রথম টেস্টে হাঁসফাঁস করেছেন আফ্রিকানরা, ওয়ার্নারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে ডি কক যেন পিছিয়ে দিয়েছিলেন তাদের আরও। তবে পোর্ট এলিজাবেথেই দারুণভাবে সিরিজে ফিরে এলো দক্ষিণ আফ্রিকা, জিতল ৬ উইকেটে।

    এবি ডি ভিলিয়ার্সের ক্ল্যাসিক সেঞ্চুরির পর গতকালই কাগিসো রাবাদা নিয়ে রেখেছিলেন ৩ উইকেট। আজ সেটাকে ৫ উইকেট বানিয়ে ফেললেন তিনি। এরপর অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১০১ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছেন ডি ভিলিয়ার্সরা ৪ উইকেট খরচায়।  

    ১০১ রানের লক্ষ্যে লাঞ্চের আগেই ডিন এলগার ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন লায়নকে, প্রথম টেস্টে ডারবানেও আউট হয়েছিলেন একইভাবে। ৭ রানে এইডেন মার্করামের ক্যাচ স্লিপে ফেলেছিলেন মিচেল মার্শ, সেই স্লিপেই আউট হয়েছেন মার্করাম। হ্যাজলউডের বাড়তি বাউন্সে খোঁচা মারতে বাধ্য হয়েছেন তিনি, দ্বিতীয় স্লিপ থেকে তীক্ষ্ণ ক্যাচ নিয়েছেন স্মিথ। 

    ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যদি কোনোরকমের চাপে ফেলেও থাকে অস্ট্রেলিয়া, এক ডি ভিলিয়ার্সেই সেটা উবে গিয়েছিল অনেকখানি। ১ম ইনিংসে যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, এবার যেন শুরু করলেন সেখান থেকেই। তবে শর্ট লেগে ক্যামেরন ব্যানক্রফটের আরেকটি দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার তিনি, ২৬ বলে ২৮ রানের ইনিংসও শেষ লায়নের বলে। ডি ভিলিয়ার্সের ২ বল আগেই তার সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি ভেঙেছে হাশিম আমলার, বাইরের বলে খেলে পেইনের হাতে কামিন্সের বলে ক্যাচ দিয়েছেন আমলা। 

    তবে মিরাকল ঘটেনি অস্ট্রেলিয়ার জন্য, ডি ব্রুইন ও ডু প্লেসি মিলে আফ্রিকাকে নিয়ে গেছেন সিরিজের সমতায়। এর আগে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসেও মিরাকল ঘটাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। 

    ৪১ রানের লিডে গতকাল দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া, সেটা বাড়িয়ে নিতে অন্যতম ভরসা ছিলেন মিচেল মার্শ। দিনের প্রথম ওভারেই রাবাদার বলে তার স্টাম্প ছত্রখান, অস্ট্রেলিয়া শেষ ৫ উইকেট নিয়ে লিডের খাতায় যোগ করেছে এদিন ৫৯ রান, মার্শ করেছেন ৪৫। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন টিম পেইন, ২৮ রানে। 

    গালিতে থিউনিস ডি ব্রুইনকে কামিন্স ক্যাচ দেওয়ায় ইনিংসে ৫ ও ম্যাচে ১০ উইকেট পূর্ণ হয়েছে রাবাদার। ২৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে এ নিয়ে চতুর্থবার ম্যাচে দশ উইকেট পূর্ণ করলেন এই পেসার, ২২ বছর বয়সে। ২৩ পূর্ণ করার আগে চারবার ম্যাচে ১০ উইকেট বা এর বেশি আছে শুধু ওয়াকার ইউনিসের। 

    রাবাদার ১১তম শিকার বনেছেন মিচেল স্টার্ক, আউসাইড-এজে ক্যাচ দিয়েছেন পেছনে। শেষ দুই উইকেট নিয়েছেন আফ্রিকার অন্যান্য বোলাররা। এনগিডির রিভার্স সুইংয়ে এজড হয়েছেন ড্রাইভের চেষ্টায় থাকা লায়ন। মহারাজের বলে মিড-উইকেটে এনগিডিকে ক্যাচ দিয়েছেন বড় শট খেলতে যাওয়া হ্যাজলউড, এর আগে পেইন ও তার শেষ উইকেট জুটিতে এসেছে ২৮ রান।