• নিদাহাস ট্রফি ২০১৮
  • " />

     

    রোমাঞ্চকর টি-টোয়েন্টি, রোমাঞ্চকর মাহমুদউল্লাহ

    রোমাঞ্চকর টি-টোয়েন্টি, রোমাঞ্চকর মাহমুদউল্লাহ    


    ইসুরু উদানার বলটা ওয়াইড হতে পারতো। ধারাভাষ্যে ব্রেট লি তো বলছিলেন, টেস্টেও এটা ওয়াইড হতো! তবে মাহমুদউল্লাহ ওয়াইডের জন্য অপেক্ষা করেননি, বলের নাগালে পৌঁছে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে মেরেছেন চার। ৪ বলে ১২ রানের সমীকরণটা নেমে এলো ৩ বলে ৮ রানে। শেষ ২ বলে ছয় রানের সমীকরণটাও মাহমুদউল্লাহ মিলিয়ে দিলেন দারুণ এক ফ্লিকে ছয় মেরে। তার এই স্ট্রোক ভরপুর ইনিংসকে বাংলাদেশের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের শেষের দিকের অন্যতম সেরা ইনিংস বলে মনে করছেন সাকিব আল হাসান। 

    ‘আমাদেরকে অনেক ভাল ব্যাটিং করতে হয়েছে। স্নায়ু ধরে রাখতে হয়েছে। তামিম শুরুতে দারুণ ব্যাটিং করেছে। তবে মাহমুদউল্লাহ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমার মনে হয় সীমিত ওভারে শেষের দিকে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে এটা আমাদের অন্যতম সেরা ইনিংস। সে যেভাবে বলকে মারছিল, দারুণ।

    শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আগের ম্যাচে দারুণ এক ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম, এবার খেললেন মাহমুদউল্লাহ। এ দুইজনই ছিলেন বেঙ্গালুরুতে ভারতের সঙ্গে ৩ বলে ২ রানের সেই ম্যাচে। মুশফিক তার দায়মোচন করলেন, এবার করলেন মাহমুদউল্লাহও। 

    সাকিব অবশ্য ব্যাপারটিকে শিক্ষা নেওয়া হিসেবেই দেখছেন, ‘সবাই তো শিখে। ওইটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা ছিল। কিভাবে জিততে হয়। এরকম অবস্থা আসলে আমরা সতর্ক থাকি, কী করতে হবে।’

    মাহমুদউল্লাহ সতর্ক ছিলেন। নো-বল বিতর্কে খেলা বন্ধ ছিল বেশ কিছুক্ষণ, তাতেও মাহমুদউল্লাহ ভড়কে যাননি। ৪র্থ বলে ডাইভ দিয়ে অল্পের জন্য বেঁচেছেন রান-আউট থেকে, এরপরও সামলিয়েছেন স্নায়ুর চাপ। পরের বলেই মেরেছেন ছয়।  

    ‘আমি এত বছর ধরে খেলেছি, এটা বাংলাদেশ দলে খেলা আমার অন্যতম রোমাঞ্চকর ম্যাচ। আমরা যেভাবে স্নায়ু ধরে রেখেছিলাম। আর শ্রীলঙ্কা অনেক ভাল খেলেছে। এতো উইকেট হারানোর পর আমি আশা করি নাই তারা এতো করবে। থিসারা ও কুশালকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’

    তবে সবচেয়ে বড় কৃতিত্বটা তো মাহমুদউল্লাহরই প্রাপ্য!