• নিদাহাস ট্রফি ২০১৮
  • " />

     

    সাকিবের রোলার-কোস্টার, সাকিবের 'ভুল'

    সাকিবের রোলার-কোস্টার, সাকিবের 'ভুল'    

    বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা। থাইল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা। সাকিব আল হাসান বেশ লম্বা একটা সফর করে ফেললেন নিজের আঙুলের চোট নিয়ে। বেশ সংক্ষিপ্ত নোটিশে উড়ে গেলেন, দলের সঙ্গে যোগ দিলেন, খেলতেও নেমে গেলেন। আরও আছে। অধিনায়ক হিসেবে টস করতে নামলেন, বোলিংয়ে এলেন প্রথম ওভারেই। দ্বিতীয় ওভারে আবার পেয়ে গেলেন উইকেটও। ব্যাটিংয়ের সময় উত্তেজনা ভর করলো মাঠের বাইরে থেকেই, কতো কিছুই তো করলেন! এরপর সাক্ষি হলেন অন্যতম রোমাঞ্চকর এক টি-টোয়েন্টির, যে ম্যাচে জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ, অধিনায়কের নাম সাকিব আল হাসান! এ যেন এক রোলার-কোস্টার, কিছু বুঝে ওঠার আগেই হয়ে গেল সব! 

    ‘রোলার কোস্টার বলতে পারেন। অনেক বিমানভ্রমণ করা হলো। আমি আসলে ভাবিনি খেলতে পারবো’, ম্যাচশেষে সাকিব বলেছেন, ‘(নাজমুল হাসান, বিসিবি প্রেসিডেন্ট) পাপন ভাই সত্যি ফোন করেছিলেন, বলেছেন, “তুমি আসো, যদি বোলিংটাই করে দিতে পারো, দলের জন্য অনেক ভাল হবে।” এর দুইটা দিকই ছিল।’

    ‘আমি সেফ-সাইডে যেতে পারতাম। আমি বলতে পারতাম, ম্যাচফিট না আমি, আমি পারবো না। আবার, এটা আমার কাছে একটা সুযোগ। হয়তো সেভাবে অবদান রাখতে পারব না, কিন্তু দলের সাহায্য হতে পারে। এ কারণেই আসা। জয়ী দলের অধিনায়ক হতে পারা, এটা ভাল।’

    তবে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সাকিবের অধিনায়কত্ব নিয়েও অবশ্য উঠেছে প্রশ্ন। আগের ম্যাচগুলোতে মাহমুদউল্লাহ যা করেছেন, তিনিও এ ম্যাচ করেছেন সেটাই। কুশাল পেরেরা ও থিসারা পেরেরা- দুই পেরেরা- দুই বাঁহাতির ইনিংস যখন জমছে, তখন নিজেও বোলিংয়ে আসেননি, নিয়ে আসেননি আরেক বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল অপুকেও! অপু এ ম্যাচে বোলিং-ই করেননি।

    তবে সাকিব বলছেন, তারা অপেক্ষায় ছিলেন একটি উইকেটের, ‘আমি সবসময়ই আরেকটি উইকেট চাচ্ছিলাম। তাদের আর ব্যাটসম্যান ছিল না। উইকেট পড়লে আমি বা অপু আসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা সুযোগই পাই নি। ভাগ্যক্রমে আমাদের কম্বিনেশন ঠিক করা ছিল, মেহেদি ও মাহমুদউল্লাহ ভাল বোলিং করেছে।’

    সিদ্ধান্তটা যে একদম সঠিক ছিল, সেটা অবশ্য দাবি করছেন না সাকিব, ‘আমি যেটা বললাম, ১০০টি সিদ্ধান্ত নিব হয়তো, কিন্তু সবগুলো ঠিক হবে না। কখনও সাফল্য আসবে, কখনও আসবে না। আমি পৌনে দুই মাস পর একদিন অনুশীলন করে খেলতে নামলাম, প্রথম ওভারই করলাম। গা বাঁচিয়ে সেটা নাও করতে পারতাম। এরকম ঘটনা ঘটে ম্যাচে, পরে জবাব দেওয়ার কিছু থাকে না। ম্যাচশেষে অনেক কিছু বলা যায়। মানুষ ভুল হতেই পারে, চেষ্টা থাকে অবশ্যই যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’