• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    নাটকীয় জয়ে সুপার সিক্সে খেলাঘর, সঙ্গী গাজী গ্রুপ

    নাটকীয় জয়ে সুপার সিক্সে খেলাঘর, সঙ্গী গাজী গ্রুপ    

    শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। এটা শুধুই জয়ের প্রয়োজনীয় ৩ রান না, এ রানের ওপর নির্ভর করছিল খেলাঘরের সুপার লিগের ভাগ্যও। তেজকুনিপাড়ার ক্লাবকে এরপর উচ্ছ্বাসে ভাসালেন মাসুম খান, দেলোয়ার হোসেনের শেষ বলে চার মেরে ম্যাচ জেতালেন খেলাঘরকে, খেলাঘর উঠে গেল সুপার লিগে! প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে ম্যাচটা তাদের জন্য ছিল কিছুটা প্লে-অফের মতো, খেলাঘরই হাসলো শেষ হাসি, আর বিদায় নিল প্রাইম ব্যাংক।

    প্রাইম ব্যাংকের হারের সঙ্গে নিজেদের জয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপও। লিগের শুরুটা বাজে হয়েছিল তাদের, এরপর তাদের ভাগ্য ঝুলে ছিল আজকের ম্যাচে। দোলেশ্বরকে ৪ উইকেটে হারিয়ে পরের রাউন্ডে গেছে তারা। 

    এই দুই ম্যাচের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আজকের আরেকটি ম্যাচেও। শাইনপুকুরকে ৫৬ রানে হারিয়ে জিতেছে আবাহনী, শাইনপুকুরকে এখন তাকিয়ে থাকতে হবে শেষ রাউন্ডের দিকে। 

    আবাহনী (১৬), রুপগঞ্জ (১৪), খেলাঘর (১৪), দোলেশ্বর (১৪), গাজী গ্রুপ (১২)- এই পাঁচটি দল এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে সুপার লিগ। পয়েন্ট টেবিলের প্রথম ছয়টি দল খেলবে সুপার লিগে, শেষ দলটি হবে রেলিগেটেড, আর নয় থেকে এগারো নম্বরে থাকা দলগুলোকে খেলতে হবে রেলিগেশন লিগ। 


     

    প্রাইম ব্যাংক ২৬১ অল-আউট, ৪৯.৫ ওভার (আল-আমিন ৯৪, সাদ্দাম ৪/৫৮)
    খেলাঘর ২৬৩/৮, ৫০ ওভার (অমিত ৭১, মেনারিয়া ৬৩, মাসুম ৩৬*, শরিফুল ৪/৪০)
    ফল- খেলাঘর ২ উইকেটে জয়ী 


    পুরো স্কোরকার্ড 


    বিকেএসপিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম ব্যাংক আল-আমিনের ৯৪ রানের ইনিংসে করেছিল ২৬১ রান। ১৬৭ থেকে ১৯৫, এই ১৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল তারা, এর মাঝে ছিলেন ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৯৬ বলে ৯৪ রান করে আল-আমিনও। শেষ ৩ উইকেটে এরপর এসেছে ৬৬ রান। মোহাম্মদ সাদ্দাম নিয়েছেন ৫৮ রানে ৪ উইকেট, ৩টি নিয়েছেন তানভীর ইসলাম, ২টি রবিউল ইসলাম। 

    ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল খেলাঘর, এরপর অমিত মজুমদারের ৭১, রাফসান আল মাহমুদের ৪০ ও অশোক মেনারিয়ার ৬১ রানের ইনিংসে ঠিক পথেই ছিল তারা। শেষ ৬০ বলে প্রয়োজন ছিল ৬৩ রান। রানের সঙ্গে বলের ব্যবধানটা এরপর বেড়ে গিয়েছিল, সেটা কমে এসেছে মাসুম খানের ঝড়ো ইনিংসে। 

    শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান, ২য় বলে উইকেটও গিয়েছে একটা। শেষ চার বলে প্রয়োজন ছিল ১১ রান, মাসুম নিয়েছেন ১২ রান। 


    প্রাইম দোলেশ্বর ১৮৬/৯, ৫০ ওভার (ফজলে ৬৫, ফাওয়াদ ৩/৩৯) 
    গাজী গ্রুপ ১৮৯/৬, ৩৮.৫ ওভার (মেহেদি ৫৯, ফাওয়াদ ৪৬, জোহাইব ৫/৩৪) 
    ফল- গাজী গ্রুপ ৪ উইকেটে জয়ী 


    পুরো স্কোরকার্ড


     

    গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এক ফজলে মাহমুদ ছাড়া কারও ব্যাটেই সেভাবে রান আসেনি প্রাইম ব্যাংকের। তার ৬৫ রানের পর সর্বোচ্চ ইনিংস ওপেনার ইমতিয়াজ আহমেদের, ২৪। ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ১৮৯ রানের বেশি করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক, গাজী গ্রুপের ৭ বোলারের ৫ জন নিয়েছেন উইকেট। আলাদা করে বলতে হবে মেহেদি হাসানের কথা, ১০ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ১ উইকেট। ফাওয়াদ আলম নিয়েছেন ৩টি, টিপু সুলতান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। 

    গাজী গ্রুপ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে, তবে প্রাইম ব্যাংকের স্কোর তারা টপকে গেছে ৬ উইকেট হারিয়েই। মেহেদি হাসান করেছেন ৫৯ রান, ফাওয়াদ আলম করেছেন ৪৬ রান। জোহাইব নিয়েছেন ৫ উইকেট। তবে ৬৭ বল বাকি থাকতেই জিতে গেছে ৪ উইকেটে। 


    আবাহনী ৩৩৫/৪, ৫০ ওভার (শান্ত ১৫০*, সাইফ ৯৪, নাসির ৪৫, সাইফউদ্দিন ২/৫০) 
    শাইনপুকুর ২৭৯/৩, ৫০ ওভার (অনি ১০৪, হৃদয় ৮৩, মাশরাফি ২/৩৫)
    ফল- আবাহনী ৫৬ রানে জয়ী 


    পুরো স্কোরকার্ড 


    ফতুল্লায় নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ১৫০ ও সাইফ হাসানের ৯৪ রানে ৩৩৫ রান করেছে আবাহনী। প্রিমিয়ার লিগে এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি শান্তর, ১২০ বলে ৯টি চারের সঙ্গে ৯টি ছয় মেরেছেন। সাইফ ৭ চার ও ৪টি ছয়ে ইনিংস খেলতে বল খেলেছেন ১১৪টি। এরপর আরেক দফা ঝড় তুলেছেন নাসির হোসেন, ২৪ বলে ৪টি চার ও ৩ ছয়ে করেছেন ৪৫ রান। 

    জবাবে ফারদিন হাসান অনি করেছেন সেঞ্চুরি, তোহিদ হৃদয় করেছেন ৮৩। তবে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েও ২৭৯ রানেই থামতে হয়েছে তাদের। এখন অপেক্ষা করতে হবে তাই শেষ রাউন্ডের ম্যাচের জন্যও।