• নিদাহাস ট্রফি ২০১৮
  • " />

     

    'ব্যর্থতার দায় কারো একার নয়'

    'ব্যর্থতার দায় কারো একার নয়'    

    ‘ব্যর্থতার’ আসলে কার? বড় স্কোর দাড় না করতে পারা বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের? এক ওভারে ২২ রান দেওয়া রুবেল হোসেনের? নাকি শেষ বলে ছয় হজম করা সৌম্য সরকারের? ফাইনালে ভারতের কাছে স্বপ্নভঙ্গের পর হয়ত এমন প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকেরই। নিদাহাস ট্রফি শেষে দেশে ফেরা মুশফিকুর রহিম বলছেন, এই হারের দায় দলের সবারই।

    টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কালে ভদ্রে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। নিদাহাস ট্রফিতে শিরোপা না জিতলেও ধারাবাহিকতা খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ, জানালেন মুশফিক, ‘এই কয়দিন আমরা যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, ম্যাচ জিতেছি, পুরো বাংলাদেশ দল কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য। হোম সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে আমরা যেভাবে হেরেছিলাম শ্রীলঙ্কার সঙ্গে, এরপর ওদের মাটিতে এভাবে জেতা অনেক বড় প্রাপ্তি। যে দুটি ম্যাচ জিতেছি ওই দুটি ম্যাচ খুবই ক্লোজ ছিল। ঘরের মাঠে ক্লোজম্যাচ দুটি আমরা জিততে পারিনি, কিন্তু ওখানে কিন্তু আমরা বাধা পেরিয়ে জিতেছি। এটাও আমাদের নতুন প্রাপ্তি। পুরো টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমরা ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য একটা ‘প্লাস পয়েন্ট’, যেটা কিনা আমরা এর আগে করতে পারিনি।’

    জয়ের খুব কাছেও গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতিতে ম্যাচ বের করে আনার আশা রাখছেন মুশফিক, ‘ ফাইনাল হারায় খারাপতো লাগবেই, এতো কাছে এসেও আমরা ট্রফিটা পেলাম না। পরবর্তী সময়ে আমরা এমন পরিস্থিতিতে আসতে পারলে নার্ভটা যেন আরও শক্ত রাখতে পারি, সেই চেষ্টা করব। যে কোন বড় বড় বোলার এমন পরিস্থিতিতে নার্ভটা ধরে রাখতে পারে না। এই মাঠেই কিন্তু মালিঙ্গাকে এক ওভারে স্যামুয়েলস মেরে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। আমি মনে করি এটা শিক্ষনীয় বিষয়। আমাদের সুযোগ ছিল, সুযোগটা আমরা হাতছাড়া করেছি। ভারতকে হারানোর সুযোগ বার বার আসে না। শেষ দুইটা সুযোগ হাতছাড়া করে ফেললাম, ইনশাল্লাহ এই কষ্টটা আমরা মনে রাখবো, এখান থেকে যেন আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে পারি।’

    সৌম্য কিংবা রুবেল, কাউকেই দোষারোপ করছেন না মুশফিক, ‘আমি মনে করি না এটা শুধু একজনের জন্যই হয়েছে।  আমরা বোলাররা মিলে যদি এক কিংবা দুই রান কম দিতে পারতাম। কিংবা আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি আরও ১০টা রান বেশি করতে পারতাম, তাহলে ফল অন্যরকম হতে পারত। এটা দলীয় খেলা , একজনের ব্যর্থতা মানে সবারই ব্যর্থতা। এই ম্যাচ থেকে আমাদের শিক্ষা ছাড়া অন্য কিছু নেওয়ার নেই। আমরা চেষ্টা করবো, পর্ববর্তী সময়ে এবারের শিক্ষাটা কাজে লাগবে। সৌম্যর জন্য এটা প্রথমবার। পরে আবার যখন সুযোগ আসবে, আশা করি তখন এরচেয়ে আরও ভালো করবে।’

    কিছুদিন আগেই সফরে এসে বাংলাদেশকে হারিয়ে গেছে শ্রীলংকা। শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচগুলো তাই বাড়তি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিল বাংলাদেশ দল, বলছেন মুশফিক, ‘যখন আপনি ক্রিকেট মাঠে খেলবেন, সবাই সবার প্রতিপক্ষ। যেহেতু শ্রীলঙ্কা দেশের মাটিতে আমাদের হারিয়ে গেছে, আমাদের মধ্যে অন্যরকম একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা যেন ওদের মাটিতে ওদেরকে হারাতে পারি। সেটা করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’