• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    দক্ষিণ আফ্রিকার লিডের সঙ্গে ধেয়ে আসছে আরেকটা বিতর্কও

    দক্ষিণ আফ্রিকার লিডের সঙ্গে ধেয়ে আসছে আরেকটা বিতর্কও    

    কেপটাউন টেস্ট, ৩য় দিনশেষে 
    দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১১ ও ২৩৮/৫* (মার্করাম ৮৪, ডি ভিলিয়ার্স ৫১, কামিন্স ২/৪৭)
    অস্ট্রেলিয়া ২৫৫ 
    দক্ষিণ আফ্রিকা ২৯৪ রানে এগিয়ে 



    বিতর্ক আর এই সিরিজ যেন একসূত্রে গাঁথা। ক্যামেরন ব্যানক্রফট সেখানে নতুন এক অধ্যায় খুলেছেন, এক রহস্যময় হলুদ রঙের বস্তু তার ট্রাউজারসের পকেট থেকে অন্তর্বাসের দিকে গিয়ে ‘হারিয়ে গিয়েছে’, আর কেপটাউন টেস্টে উন্মোচিত হয়েছে নতুন এক দরজা। সে দরজার ওপাশে নানা মত আর বিতর্ক গিজগিজ করছে নিশ্চিতভাবেই। এসব বাদ দিলে, এই টেস্টের তৃতীয় দিনশেষে এইডেন মার্করাম ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ফিফটিতে লিডটা ২৯৪ রান পর্যন্ত নিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্যানক্রফট-বিতর্ক সামলানোর সঙ্গে এ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার টিকে থাকার আশাটাও হয়ে পড়েছে বড্ড কঠিন। 

    অস্ট্রেলিয়া দিন শুরু করেছিল ৬৬ রানে পিছিয়ে থেকে, ১ উইকেট নিয়ে। ১০ রান যোগ করতেই ফিরেছেন জশ হ্যাজলউড, কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে।  

    ৫৬ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে আগের ইনিংসে ‘ক্যারি ব্যাট থ্রু দ্য ইনিংস’ করা ডিন এলগারকে ১০ম ওভারে হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, কামিন্সকে ড্রাইভের অতিচেষ্টায় কাল হয়েছে তার জন্য। অনেক ধৈর্য্য দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত হার মেনেছেন আমলা, কামিন্সের বলেই ধরা খেয়েছেন কাভারে। মার্করাম ওপাশে ছিলেন বেশ সপ্রতিভ, ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে বা পুল করে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছয় মারতেও দ্বিধা করেননি। ফিফটি করেছেন, তবে মিস করে গেছেন সেঞ্চুরি। ক্লিপ করতে গিয়ে মিড-অনে ব্যানক্রফটকে দিয়েছেন মাখন-মাখানো ক্যাচ।

    ডি ভিলিয়ার্স নিজেকে আবার বেশ দৃঢ় অবস্থায় নিয়ে গেছেন, ফিফটি করেছেন, অস্ট্রেলিয়াকে ভোগানোর জন্য অপরাজিত আছেন ৫১ রানে। ফ্যাফ ডু প্লেসি এলবিডাব্লিউ হওয়ার পর টেমবা বাভুমাও ফিরেছেন দ্রুতই, অস্ট্রেলিয়ার সামনে আরেকবার খুলে গিয়েছিল বাঁধের স্লুইস-গেট। তবে ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন কুইন্টন ডি কক, আর যে কোনও দিনের চেয়ে বেশ সপ্রতিভ ছিলেন তিনি আজ। ৩৩ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে অপরাজিত আছেন ২৯ রানে, ডি ককের আত্মবিশ্বাস বেশ ভরপুরই। 

    তবে হুট করেই সব আলো যেন কেড়ে নিয়েছেন ব্যানক্রফটই। দ্বিতীয় সেশনে টিভি ক্যামেরায় তিনি ধরা পড়েছেন এক ‘বহিরাগত’ বস্তু সহ, যেটা তিনি বলের ওপর কাজে লাগিয়েছেন, এরপর পকেট থেকে বের করে সেটা জমা করেছেন নিজের ট্রাউজারসের ভেতর। আম্পায়াররা তাকে ডেকে কথাও বলছিলেন আলাদা করে, তবে কোনও অ্যাকশন নেননি সে সময়। তবে ঘটনা সেখানে শেষ হয়নি, শুরুই হয়েছে কেবল!