• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    বল টেম্পারিংয়ের 'মূল কারিগর' ছিলেন ওয়ার্নার?

    বল টেম্পারিংয়ের 'মূল কারিগর' ছিলেন ওয়ার্নার?    

    বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে আইসিসি থেকে শাস্তি পেয়েছেন স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট। পরের টেস্টে নিষিদ্ধ হয়েছেন স্মিথ। তবে দ্য ক্যানবেরা টাইমস-এর ক্রিস ব্যারেট এক প্রতিবেদনে বলছেন, স্মিথ বা ব্যানক্রফট নয়- বল টেম্পারিংয়ের মূল ‘কারিগর’ সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। জোহানেসবার্গের চতুর্থ টেস্টে তাই নাও খেলা হতে পারে এই বাঁহাতির। 

    বলের দেখভালের দায়িত্ব সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া দলে ওয়ার্নার পালন করলেও কেপটাউন টেস্টে সেটা দেওয়া হয় ব্যানক্রফটকে। তবে টেম্পারিংয়ের এই পরিকল্পনা ওয়ার্নারেরই করা, যেটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ব্যানক্রফটকে, আর সেটা মেনে নিয়েছিলেন স্মিথ। সংবাদ সম্মেলনে স্মিথ কারও নাম না বললেও জানিয়েছিলেন ‘লিডারশিপ গ্রুপ’-এর কথা, যারা ব্যাপারটা আগে থেকেই জানতো। 

    পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মাঝে জরুরীভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড। এর আগে সেখানে পৌঁছেছেন ‘হেড অব ইন্টেগ্রিটি’ ইয়ান রয় ও এক্সিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজার টম হাওয়ার্ড। 

    ‘আমি জোহানেসবার্গে যাচ্ছি, সেখানকার স্থানীয় সময় মঙ্গলবারে পৌঁছাব। সেখানে ইয়ানের সঙ্গে আমার দেখা করার উদ্দ্যেশ্যই হলো তদন্তে কী বের হয়ে এল সেটা জানা। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপও নেওয়া হবে’, বলেছেন সাদারল্যান্ড। 


    কেপটাউনে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির সবকিছু


     ‘আমরা জানি, অস্ট্রেলিয়ানরা উত্তর চান। কী জানতে পারছি, সে ব্যাপারে নিয়মিত আপডেট দেওয়া হবে। আর জরুরী ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপও জানানো হবে।’ 

    আইসিসির দেওয়া শাস্তির পরও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া স্মিথদের ব্যাপারে অভ্যন্তরীন তদন্ত করবে, সেটা জানানো হয়েছিল আগেই। ‘ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়া’ বলছে, সেসবের ভিত্তিতেই স্মিথ ও ওয়ার্নারকে ‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য’ ক্রিকেট থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হবে। 

    ‘আমরা অস্ট্রেলিয়া সময় বুধবার সকালে আপডেট জানাতে পারব বলে আশা করছি’, বলেছেন সিএ চেয়ারম্যান ডেভিড পিভার, ‘আমরা জানি, সবাই উত্তর চায় (কেন এমন হয়েছে), কিন্তু পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আমাদের অবশ্যই বাকি কাজগুলো করতে হবে।’ 

    কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনে এই বল টেম্পারিংয়ের ঘটনার পর থেকেই বেশ কঠিন সময় যাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। চতুর্থ দিন খেলা শুরুর আগেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অধিনায়ক স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নারকে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা এরই মাঝে বলেছেন, স্মিথদের কঠোর শাস্তি যাতে নিশ্চিত করা হয়।