• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখনই দঃ আফ্রিকার ৪০১ রানের সমুদ্র

    অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখনই দঃ আফ্রিকার ৪০১ রানের সমুদ্র    

    জোহানেসবার্গ টেস্ট, ৩য় দিনশেষে 
    দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ৪৮৮ (মার্করাম ১৫২, বাভুমা ৯৫*, ডি ভিলিয়ার্স ৬৯, কামিন্স ৫/৮৩, লায়ন ২/১৮৩) ও ২য় ইনিংস ১৩৪/৩* (এলগার ৩৯*, ডু প্লেসি ৩৪*, মার্করাম ৩৭, কামিন্স ২/৩৫)
    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ২২১ (পেইন ৬২, কামিন্স ৫০, খাওয়াজা ৫৩, ফিল্যান্ডার ৩/৩০, রাবাদা ৩/৫৩, মহারাজ ৩/৯২) 
    দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০১ রানে এগিয়ে 


    টিম পেইন ও প্যাট কামিন্সের ৭ম উইকেটে দারুণ জুটি, এরপর বোলিংয়েও কামিন্সের ক্রমাগত হুমকি- এদিন অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় প্রাপ্তি। তবে বড় হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার লিডটাও, এখনই যেটা পেরিয়ে গেছে ৪০০। দুই দিন বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়াকে অন্তত এ মাঠে রান-তাড়ায় রেকর্ডটা গড়ে জিততেই হবে, বিশ্ব-রেকর্ডসমান লক্ষ্যটাও খুবই স্বাভাবিক এখন। এ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কোনও ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেননি, কোনও জুটিও যায়নি শতরান পর্যন্ত। জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়া জিতলে (বা দক্ষিণ আফ্রিকা না জিতলে) সেটা একটা মিরাকলই হবে বটে, যেটা বর্ণনা করতে প্রয়োজন হবে বেশ কিছু শব্দ। 

    আগেরদিন অপরাজিত পেইন ও কামিন্স এদিন সকালে বেশ কিছুক্ষণ লড়ে গেছেন। দুইজনই করেছেন ফিফটি, কামিন্সেরটি তার ক্যারিয়ারে প্রথম, পেইনেরটি ক্যারিয়ারে চতুর্থ। মহারাজের বলে কামিন্সের এলবিডাব্লিউতে ভেঙেছে সেই জুটি, দক্ষিণ আফ্রিকা যে উইকেট পেয়েছে রিভিউ নিয়ে। তখনও ফলো-অন থেকে বেশ দূরে অস্ট্রেলিয়া। 

    শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন টিম পেইন, রাবাদার বলে। পেছন দিক ছুটে অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়েছেন এলগার, অস্ট্রেলিয়া তখনও পিছিয়ে ২৬৭ রানে। তবে ক্যাচ নিয়ে যেভাবে ড্রেসিংরুমের দিকে ছুটেছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার, তাতেই নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা ব্যাটিং করবেন আবার। অবশ্য লাঞ্চের আগে চোট পেয়ে উঠে গেছেন এ ম্যাচ শেষেই অবসরে যাওয়া মরনে মরকেল, এ টেস্টে আবার বোলিং করবেন কিনা- সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনও। কামিন্স ও পেইনের মাঝে ফিরেছেন ন্যাথান লায়ন ও চ্যাড সেয়ার্স। লায়ন রাবাদার বলে, সেয়ার্স মহারাজের বলে মিড-অফ ও ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দিয়েছেন সহজ ক্যাচ।  

    কামিন্সের লেংথ বলে স্লিপে মার্করামের ক্যাচে ভেঙেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৪ রানের ওপেনিং জুটি, আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ওপেনার করেছেন ৩৭ রান। জোহানেসবার্গের ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু উইকেটে লায়ন অস্বস্তিতে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের, এমনই এক টার্ন-বাউন্স সম্বলিত ডেলিভারিতে লেগ স্লিপে ধরা পড়েছেন ১৬ রান করা হাশিম আমলা। 

    লায়নের অতিরিক্ত বাউন্সে ধোঁকা খেয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সও। বলের লাইন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে লাভ হয়নি, পেইনের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্যই হয়েছেন একরকম। এরপর আর সাফল্য পায়নি অস্ট্রেলিয়া, অবিচ্ছিন্ন ৪র্থ উইকেট জুটির রান এখন ৪০, যেখানে ফ্যাফ ডু প্লেসিরই অবদান ৩৪। এলগার অপরাজিত আছেন ৩৯ রানে।