• " />

     

    পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ    

    স্কোর

    পাকিস্তান ২০ ওভারে ২০৩/৫ ( তালাত ৪১, মালিক ৩৭*, পল ১/২৬)

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩.৪ ওভারে ৬০ ( স্যামুয়েলস ১৮, আমিয়ে ২/৩ , মালিক ২/১৩)

    পাকিস্তান ১৪৩ রানে জয়ী


    যে পিচকে মনে হচ্ছিল ‘ব্যাটিং স্বর্গ’, ম্যাচের দ্বিতীয় ভাগে সেখানে রান তুলতেই হাঁপিয়ে উঠলেই ব্যাটসম্যানরা। যেখানে পাকিস্তান করল ২০৩, সেখানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে গেলো মাত্র ৬০ রানে! করাচীতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবিয়দের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান।

    করাচীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার আনন্দটা তো ছিলই। দর্শকের বাড়তি আনন্দ হিসেবে যোগ হয়েছিল স্বাগতিকদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কখনোই পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি জেসন মোহামেদের দল। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই চ্যাডউইক ওয়ালটনকে ফেরান মোহাম্মদ নাওয়াজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর তখন ৬।

     

     

    ৯ রানের মাঝে পড়ে আরও ৪ উইকেট। ৭ ওভারের মাঝে ২৭ রানেই নেই ৫ উইকেট। জয় তো দূরের ব্যাপার, ৫০ পেরোনোই তখন রীতিমত অসম্ভব মনে হচ্ছিল। সেই ‘লজ্জা’ থেকে দলকে রক্ষা করেন মারলন স্যামুয়েলস। ১৮ রান করে ফেরা স্যামুয়েলসই দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। দুই অংক ছুঁয়েছেন আর দুজন মাত্র, শূন্য রানের প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ৪ জন। ৩৮ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৬০ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। এটাই টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর।

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় ওপেনিং জুটি। ফখর জামানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ ওভারের মাঝেই ওঠে ৪৬ রান। এরপর ২ ওভারের ব্যবধানে দুই ওপেনার ফিরলে রানের গতি কমার শঙ্কা জাগে।

    সেই শঙ্কা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন হুসাইন তালাত ও সরফরাজ আহমেদ। দুজনের ৭৫ রানের জুটি বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেয়। শেষের দিকে শোয়েব মালিকের ১৪ বলে ৩৭ রানের ক্যামিওতে ২০০ পেরোয় পাকিস্তানের ইনিংস। ৪ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ইনিংসের কল্যাণেই শেষ ৩ ওভারে ওঠে ৪৭ রান।