• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    পেসারদের দাপট শুভ লক্ষণ: মাশরাফি

    পেসারদের দাপট শুভ লক্ষণ: মাশরাফি    

    মাশরাফি বিন মুর্তজা, কাজী অনীক, ফরহাদ রেজা, রবিউল হক, মোহাম্মদ শহীদ... এই নামগুলোর মধ্যে একটা বড় মিল আছে। এঁরা সবাই প্রিমিয়ার লিগের উইকেটশিকারীদের শীর্ষ ছয়ে আছেন, তার চেয়েও বড় কথা সবাই-ই পেসার। শীর্ষ ছয়ে শুধু রূপগঞ্জের আসিফ হাসানই একমাত্র স্পিনার। লিগে পেসারদের এই দাপট শুভ লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

    মাশরাফি নিজেই আসলে বড় একটা প্রেরণা হতে পারেন। এবারের লিগে ৩৮ উইকেট হয়ে গেছে তাঁর, লিস্ট এ তে বাংলাদেশের কারও যেটা নতুন রেকর্ড। তবে শীর্ষ ছয়ে এতজন পেসারের উপস্থিতি বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের কাছে বেশ ইতিবাচক একটা বার্তা।

    ‘এ বছর বেশ কজন ভালো খেলেছে। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকা আপনারা দেখেছেন, শীর্ষ তালিকার পাঁচ–ছয়জনের মধ্যে চারজন ফাস্ট বোলার আছে। এটা ভালো সাইন আমাদের জন্য। এদের মেইনটেইন করতে হবে, এদের তৈরি করে রাখতে হবে। ফরহাদ রেজা বাদে বেশিরভাগ বোলার কিন্তু তরুণ। উইকেট অনেক ফ্লাট ছিল, ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব সহায়ক ছিল। এ ধরনের উইকেট পেস বোলারদের অনুশীলনের জন্য ভালো। যদি বাইরের টুর্নামেন্টে বা যদি বিশ্বকাপের দিকে তাকান, ফ্লাট উইকেট বোলিং করতে হবে। সে জায়গা থেকে বলব পেস বোলারদের এই পারফরম্যান্স ইতিবাচক। এটা ধরে রাখতে হবে।’

    এঁদের মধ্যে অনীক ও রবিউল ছাড়া বাকি সবাই অবশ্য অভিজ্ঞ। তরুণদের মধ্যে কি একটু ক্ষুধার অভাব দেখেছেন? মাশরাফি অবশ্য গ্লাসের অর্ধেক খালি না দেখে ভরাই দেখছেন। আলাদা করে বললেন অনীক-শাকিলের কথা, ‘এই মুহূর্তে মোস্তাফিজ–তাসকিন তো আছেই। কাজী অনিক ভালো  বোলিং  করেছে। আরও কিছু অনূর্ধ্ব–১৯ দলের ফাস্ট বোলার আছে। প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে দেখলাম শাকিল নামের একটা বোলার ছিল, প্রথম বিভাগ থেকে এসেছে। এরা ইন–আউট ভালো করেছে। এদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে ভালো প্রস্তুতির মধ্যে রাখতে পারলে নিকট ভবিষ্যতে ভালো করবে।’’

    একই প্রশ্ন করা হয়েছিল আজ মিরপুরে বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশারকেও। তিনিও পেসারদের সাফল্য ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন।

    ‘এবার কিন্তু উইকেটটা আসলে অনেকখানি ফ্ল্যাট ছিল, আপনারা সবাই দেখেছেন। মিরপুরের বাইরে যে ভেন্যুগুলো ছিল, মোস্টলি সেগুলো ব্যাটসম্যানদের ফেবারে ছিল। এবার যদি দেখেন, টপ উইকেট নেওয়া পাঁচজনের একজন ছাড়া সবাই ফাস্ট বোলার। যেটা আসলে আমরা খুব কম দেখি। এমনিতে যখন খেলা হয় তখন তো স্পিনেই বেশি প্রাধান্য থাকে। ফাস্ট বোলাররা উঠে আসছেন, ভালো করছেন আমাদের জন্য খুব ভালো খবর। আমি বিশ্বাস করি, টেস্ট ম্যাচে ভালো করতে হবে স্পিন বোলিং, পেস বোলিং; দুইটা জায়গাতেই আমাদের ভালো করতে হবে।’

    সেজন্য তিনি মাশরাফিকে অনুসরণযোগ্য বলেই মনে করছেন, ‘মাশরাফি খুব ভালো করছে। অবশ্যই যারা তরুণ খেলোয়াড় তাদের জন্য খুব ভালো  উদাহরণ। ঘরোয়াতে কতটা মোটিভেশন... কতটা ভালো করা যায় ফ্ল্যাট উইকেটে কিভাবে বল করা যায় তার খুব ভালো একটা এক্সাম্পল সেট করেছেন মাশরাফি। ওর কাছ থেকে তরুণরা এই শিক্ষাটা নিতে পারবে।’