বড় জয়ে সিরিজ পাকিস্তানের
স্কোর
পাকিস্তান ২০ ওভারে ২০৫/৩ (বাবর ৯৭*, তালাত ৬৩, স্মিথ ১/৪০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯.২ ১২৩ ( ওয়ালটন ৪০, আমির ৩/ ২২)
পাকিস্তান ৮২ রানে জয়ী
এ যেন প্রথম ম্যাচের দেজা ভ্যু! প্রথম ম্যাচের বিশাল ব্যবধানের পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রতিরোধ গড়তে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাবর আজমের ৯৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসের পর আমির-শাদাবের বোলিং নৈপুণ্যে ক্যারিবিয়ানদের ৮২ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল পাকিস্তান।
করাচীতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সরফরাজ আহমেদ। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন ফখর জামান, দলের রান তখন ১১। এর পড়েই শুরু বাবর ঝড়ের। ক্যারিবিয় বোলারদের ওপর রীতিমত তান্ডব চালিয়েছে। ১৩ চার ও এক ছয়ে সাজানো ইনিংসে পূর্ণ করেন হাফ সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরিটাও পেতেন অনায়াসেই। তবে শেষের দিকে খুব বেশি স্ট্রাইক না পাওয়ায় ৯৭ রানে অপরাজিত থাকতে হয় বাবরকে।
অন্য প্রান্তে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন হুসায়েন তালাতও, ফিফটি পেয়েছেন তিনিও। ৮ চার ও এক ছয়ে ৪১ বলে ৬৩ করে ওডিন স্মিথের বলে ফেরেন। আগের ম্যাচে শেষের দিকে ঝড় তোলা শোয়েব মালিক এদিনও খেলেছেন ৭ বলে ১৭ রানের ক্যামিও। ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২০৫।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গতদিনের মতো এই ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনিংয়ে নামা চ্যাডউইক ওয়ালটন ছাড়া দাঁড়াতে পারেননি টপ অর্ডারে কেউই। স্যামুয়েলস, ফ্লেচার, জেসন; ব্যর্থ ছিলেন সবাই। ৫ চার ও ২ ছয়ে চ্যাডউইক করেন ৪০ রান, ফিরেছেন শাদাবের বলে বোল্ড হয়ে।
চ্যাডউইকের ফেরার পড়েই কার্যত শেষ হয়ে যায় ক্যারিবিয়দের জয়ের আশা। মিডল অর্ডারে নামা দিনেশ রামদিন খানিকটা আশা জাগিয়েছিলেন ২ ছয় মেরে। তবে ২১ রানে করে দ্রুতই ফিরেছেন তিনিও। শেষের দিকে কেমো পলের ১৭ রান শুধু হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে।