হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ
স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভারে ১৫৩/৬ ( ফ্লেচার ৫২, রামদিন ৪২*, শাদাব ২/২৭)
পাকিস্তান ১৬.৫ ওভারে ১৫৪/২ ( বাবর ৫১, ফখর ৪০, তালাত ৩১*, এমরিট ১/২৪)
পাকিস্তান ৮ উইকেট জয়ী
সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল আগেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সুযোগ ছিল অন্তত একটা জয় নিয়ে দেশে ফেরার। শেষ পর্যন্ত সেটাও হলো না। তাদের ৮ উইকেটে হারিয়ে ধবলধোলাই করেই করাচীতে আন্তর্জাতিক সিরিজ ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখল পাকিস্তান।
আগের দুই ম্যাচের ব্যর্থতা পেছনে ফেলে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসমানরা। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তৃতীয় ওভারেই শূন্য রানে ফেরেন আগের ম্যাচে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার চ্যাডউইক ওয়ালটন। দ্বিতীয় উইকেটে আন্দ্রে ফ্লেচার ও মারলন স্যামুয়েলসের ৭২ রানের জুটি আশা জাগিয়েছিল বড় স্কোরের। মারমুখী ছিলেন দুজনই।
২ চার ও ২ ছয়ে ২৫ বলে ৩১ করা স্যামুয়েলস আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই তাকে ফেরান শাদাব খান। দুই ওভারের মাঝে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফ্লেচার। ফেরার আগে পূর্ণ করেছেন ফিফটি, ৪ চার ও ৩ ছয়ে করেন ৫২ রান।
থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যানের ফেরায় খেই হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কমে রানের গতিও। দল ১৫০ পেরিয়েছে শুধু দিনেশ রামদিনের কৃতিত্বেই। শেষ ৪ ওভারে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই লড়াই করার পুঁজি পায় ক্যারিবিয়ানরা। চার মেরেছেন ৪ টি, ছয় ৩ টি। ১৮ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত ছিলেন রামদিন।
১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান জিতেছে হেসে খেলেই। বাবর আজম, ফখর জামানরা একদম মামুলি বানিয়ে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুঁজিকে। মাত্র ৫ ওভারের মাঝেই ওপেনিং জুটি তোলে ৬১ রান। ১৭ বলে ৪০ রান করে ফখর ফিরলেও রানের গতি ধরে রাখেন হুসাইন তালাত ও বাবর।
ফিফটি করার পরপরই আউট হন বাবর। বাকি কাজটা শেষ করেছেন তালাত ও আসিফ আলি মিলেই। ১৯ বল হাতে রেখেই টানা তৃতীয় ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।