• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    'এরকম দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার কারণ নেই'

    'এরকম দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার কারণ নেই'    

    সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষ দুইজনই আবাহনীর, সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষ বোলারের সঙ্গে পরের বোলারের ব্যবধান ১০ উইকেটের। ব্যক্তিগত এমন পারফরম্যান্সের সমন্বয়ের প্রতিফলনটা শেষ ম্যাচেও দেখা গেল, আবাহনী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতলো ১৯তম বারের মতো। ৩৯ উইকেট নিয়ে লিগের সেরা বোলার মাশরাফি বলছেন, আবাহনীর এই দলটা অসাধারণ, দলের প্রত্যেকের অবদানও অনেক। 

    আবাহনীর এই দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার কোন কারণই ছিল না বললেও মাশরাফি মনে করিয়ে দিচ্ছেন,  ‘এখন ভালো দল নিয়েও চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় না। অনেক সময় ছোট দলগুলোও ভালো ক্রিকেট খেলে। এই অবস্থায় বড় দলগুলোকে সতর্ক থাকতে হয়। এগুলো নিয়ে আমাদের একটা ভয় ছিল। এবং আমরা ওই পথে চলেও আসছিলাম। সবমিলিয়ে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি, এটাই বড় কথা।’ 

    ‘দলে প্রত্যেকেরই অবদান ছিল। যার যার জায়গায় সে তার সর্বোচ্চটা দেওয়া চেষ্টা করেছে। কিছু ম্যাচে হয়তো আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। তারপরও আমার কাছে মনে হয় বিজয়, শান্ত, মিঠুন কয়েকটা ম্যাচ বেশ ভালো খেলেছে।’

    আবাহনীর শিরোপা ভাগ্য ঝুলে ছিল শেষ রাউন্ড পর্যন্ত, রুপগঞ্জের সঙ্গে ম্যাচটা জেতার চাপও ছিল বেশ। তবে এসব পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত রেখেছিল আবাহনী, ‘কালকে আমরা এমন পরিস্থিতি নিয়ে হোমওয়ার্ক করেছি। এ ধরনের ম্যাচে খেলার থেকে মানসিক চাপটা বেশি থাকে। এটা খুব কাজে লেগেছে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে যদি দেখেন বিজয় আক্রমণাত্মক ছিল। একজনকে সামনে থেকে আক্রমণাত্মক খেলতেই হয়। যেটা আজকে বিজয় করেছে। এরপর শান্ত এবং নাসির দারুন ইনিংস খেলেছে। কৃতিত্ব মূলত ব্যাটসম্যানদের। আমি মনে করি শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিজয়ের ইনিংসটা খুব ভালো ছিল। হয়তো একশও হতে পারত।’

    দলে বিদেশী খেলোয়াড়ের সংখ্যা কম নিয়েও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারটা আলাদা করে বলছেন তিনি, ‘এখানে বেশিরভাগই আমাদের খেলোয়াড়রা খেলে। নিজেদের দেখানোর সুযোগটা তাই বেশি থাকে। সেই জায়গা থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা বিশেষ কিছুই।’

    সব মিলিয়ে লিগটা বেশ জমজমাট হয়েছে বলেই বিশ্বাস তার, ‘আমার কাছে মনে হয় এবার লিগটা খুব জমজমাট ছিল। এবার ১২ পয়েন্ট ছাড়া কেউই উঠতে পারেনি। ৫-৬ টা দলের সবাই ১০-১২ পয়েন্ট নিয়ে খুব কাছাকাছি ছিল। আমরাও যখন সুপার লিগে উঠি, আমাদের পেছনের দলের পয়েন্টের পার্থক্য ছিল মাত্র দুই। ৬ নম্বর দলের পয়েন্ট ছিল ১০। মাত্র ৪ পয়েন্ট পার্থক্য ছিল ৬ দলের মাঝে। সবকিছু যদি রিভিউও করেন, লিগটা সত্যিকার অর্থেই ভালো ছিল।’

    লিগটা যতোটা ভাল ছিল, ততোটা ভাল ছিল তো আবাহনীও!