• " />

     

    দক্ষিণ আফ্রিকা সফর পেরিয়ে আরও দূরে নজর রুমানাদের

    দক্ষিণ আফ্রিকা সফর পেরিয়ে আরও দূরে নজর রুমানাদের    

    ফেব্রুয়ারি ২০১৭ থেকে এপ্রিল ২০১৮। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মেয়ে ক্রিকেট দলের এখানে শুধুই শূন্যতা। সে শূন্যতা পূরণ হতে যাচ্ছে এবার। ৪ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশী মেয়েরা খেলবেন ৫টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি। এ সফরে অভিজ্ঞতা অর্জন প্রধান উদ্দেশ্য হলেও ভাল কিছু করার ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী ওয়ানডে অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির বাছাইপর্বের জন্যও প্রস্তুত হতে চান এখন থেকেই। 

    “অভিজ্ঞতা অজন করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য থাকবে। তাছাড়া এ ১৪ মাস যে একেবারে বসেছিলাম সেটা নয়। আমরা এরমধ্যে অনেক কাজ করেছি এবং ম্যাচ অনুশীলন করেছি। পারফরম্যান্স যেটা ছিল আগে সবমিলিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী আছি যে ভাল কিছু করতে পারবো”, বলেছেন ওয়ানডে দলের অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। 

    এবার দুই ফরম্যাটে দুই অধিনায়ক পাচ্ছে বাংলাদেশ। রুমানার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অলরাউন্ডার সালমা খাতুনকে। দায়িত্ব পেয়ে একটু অবাকই হয়েছেন তিনি, “
    একটু তো অবাক হওয়ার মতোই বিষয়। কারণ দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে আমি ছিলাম না। আগে যেখানে ছিলাম অবশ্যই ওখানে ফিরে আসতে চেষ্টা করবো।”


    দক্ষিণ আফ্রিকা সফর

    ৪ মে, ১ম ওয়ানডে, পচেফস্ট্রুম
    ৬ মে, ২য় ওয়ানডে, পচেফস্ট্রুম
    ৯ মে, ৩য় ওয়ানডে, কিম্বার্লি
    ১১ মে, ৪র্থ ওয়ানডে, কিম্বার্লি
    ১৪ মে, ৫ম ওয়ানডে, ব্লুমফন্টেইন
    ১৭ মে, ১ম টি-টোয়েন্টি, কিম্বার্লি
    ১৯ মে, ২য় টি-টোয়েন্টি, ব্লুমফন্টেইন
    ২০ মে, ৩য় টি-টোয়েন্টি, ব্লুমফন্টেইন 


    তবে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে আছেন বলে মনে করেন না তিনি, “আমার মনে হয় না আমরা পিছিয়ে আছি। অভিজ্ঞতা তো অবশ্যই দরকার আছে। ১৪ মাস পর একটা সফরে যাচ্ছি, অবশ্যই প্রত্যাশা থাকবে এখানে ভাল কিছু করি, স্মার্ট ক্রিকেট খেলি। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলি, দেশের জন্য একটা ভাল ফল আনতে পারি যাতে।” 

    “এই সফর থেকে শুরু হচ্ছে আমাদের, এরপর অনেক খেলা আছে। আমরা যত ম্যাচ খেলব আমাদের ততই উন্নতি হবে। আমরা কিন্তু ১৪ মাস কোনো ম্যাচ পাইনি কিন্তু যার যার এলাকায় সবাই অনুশীলন করেছি। যার যেখানে প্রয়োজন কাজ করেছি। উন্নতি করেছি। আশা করছি যেহেতু টানা ম্যাচ আছে ভাল করব।”

    দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর মালয়েশিয়ায় এশিয়া কাপ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এরপর জুনে আয়ারল্যান্ড সফর, জুলাইয়ে নেদারল্যান্ডসে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির বাছাইপর্ব। 

    রুমানা তাকিয়ে আছেন সেই বাছাইপর্বের দিকেই, “আমি মনে করি আমাদের প্রধান লক্ষ্য ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির বাছাইপর্ব। আমরা এখান থেকেই শুরু করতে যাচ্ছি। যত ভুল-ত্রুটি, অনেক কিছু শোধরানোর জায়গা আছে। এখানে পাঁচটা ওয়ানডে ও তিনটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলব। একটা দুইটা ম্যাচে একটু পিছিয়ে গেলেও ধরতে পারব।”

    সাপোর্ট-স্টাফে এবার কোনও ঘাটতি নেই বলে মনে করেন রুমানা, “আসলে এবার সবকিছুই তো পরিপূর্ণভাবে পাচ্ছি আমরা। আমরা সবাই জানি কোচও বিদেশি। বাইরের কোচ ডেভিড ক্যাপেল, তার সঙ্গে সহকারী কোচও ভারতীয়। উনিও ভাল কোচ। ১৫ দিন আমাদের সাথে কাজ করেছেন সিলেটে। টেকনিক্যাল দিকগুলো তুলে ধরেছেন আমাদের। এছাড়া ফিজিওকে নতুন পেয়েছি। তার সাথে কাজের সুযোগ হয়নি। মনে হচ্ছে আমরা পরিপূর্ণ দল হয়েই যাচ্ছি।”