অস্ট্রেলিয়ার নতুন কোচ ল্যাঙ্গার
অস্ট্রেলিয়ার কোচ হয়েছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার, তিন ফরম্যাটের জন্যই। বল-টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানো ড্যারেন লেম্যানের উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সাবেক এই ওপেনারের নাম।
“অস্ট্রেলিয়ার ছেলেদের ক্রিকেট দলের কোচ হতে পারা গর্বের ব্যাপার”, বলেছেন ১০৫টি টেস্ট ও ৮টি ওয়ানডে খেলা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। লেম্যানের জায়গায় তার চুক্তি চার বছরের।
কেপটাউন টেস্টের পর স্টিভ স্মিথ, ক্যামেরন ব্যানক্রফট ও ডেভিড ওয়ার্নারকে দেশে উড়িয়ে নিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, পরে নিষিদ্ধও করা হয়েছে তাদের। এই কেলেঙ্কারির ডামাডোলে সরে দাঁড়িয়েছিলেন লেম্যানও। এরপর থেকেই জল্পনা-কল্পনা চলেছে তার উত্তরসূরি নিয়ে। সেখানে বেশ জোরালোভাবেই এসেছিল ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া ও বিগব্যাশ দল পার্থ স্কর্চার্সের কোচ ল্যাঙ্গারের নাম।
গত পাঁচ মৌসুম ধরেই এই দলগুলোর দায়িত্বে তিনি। বেশ সফলও। তিনবার বিগব্যাশ লিগ জিতেছেন, ঘরোয়া ওয়ানডেতে তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুইবার। জাতীয় দলের কাজের অভিজ্ঞতাও আছে তার, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে দেওয়া হয়েছিল দায়িত্ব।
২০১৯ সালে লেম্যানের চুক্তি শেষ হওয়ার পর কোচ হওয়ার দৌড়ে যে কজন ছিলেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন ল্যাঙ্গারই। তবে কেপটাউন কেলেঙ্কারির পর ল্যাঙ্গারকে দায়িত্ব নিতে হলো আগেভাগেই।
“এই দেশ ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছে, এর কোচ হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত”, বলেছেন ল্যাঙ্গার, “আমাদের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। তবে আমাদেরকে গর্বিত করবে, এমন মেধাবি ক্রিকেটারের অভাব অস্ট্রেলিয়াতে নেই।”
ল্যাঙ্গারকে পেয়ে রোমাঞ্চিত ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়ার ছেলেদের ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে জাস্টিনকে নিয়োগ দিতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। ড্যারেন লেম্যানের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছর, এর মাঝেই আমরা তার উত্তরসূরিকে নিয়ে কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম।”
“আমরা বিশ্বাস করি, এই দলকে নেতৃত্ব দিতে জাস্টিনই সঠিক ব্যক্তি। তার ভূমিকা কী হবে, সে ব্যাপারে তার আত্মবিশ্বাস প্রবল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে জাস্টিন যেমন সাহসী ছিল, এই ভূমিকাতেও সে তেমনই হবে। কোচ হিসেবেও সে সফল- শুধু কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়েই নয়- যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে, তাদের গড়ে তোলার পেছনেও।”
সরে দাঁড়ানোর পূর্বে দলের লেম্যানের কর্তৃত্ব ও ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল অনেক। সেসব মুছে অস্টেলিয়াকে নিয়ে কতোদূর যাবেন, অস্ট্রেলিয়ার ‘আকাঙ্খিত’ কোচ ল্যাঙ্গার?
আপাতত আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে তিনে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডেতে পাঁচে, টি-টোয়েন্টিতে দুইয়ে। সামনের বছরই ল্যাঙ্গার পাবেন বিশ্বকাপ, এরপর পাবেন পরপর দুই বছর দুইটি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি। সঙ্গে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সাইকেলও।