দুর্নীতির দায়ে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ জামশেদ
দূর্নীতির দায়ে যে কোনও ধরনের ক্রিকেট থেকে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানি ওপেনার নাসির জামশেদকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, পিসিবি গঠিত এক ট্রাইবুনাল এ শাস্তি দিয়েছে বাঁহাতি ওপেনারকে। তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল শুধু যে কোনও ধরনের ক্রিকেট থেকে জামশেদকে নিষিদ্ধই করেনি, সঙ্গে বলেছে, দূর্নীতি-দমনের কোড ভঙ্গের দায়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে আজীবন কোনও ধরনের ম্যানেজমেন্টের ভূমিকাতেও তাকে না রাখতে।
গত দুই বছরে এটি জামশেদের দ্বিতীয় শাস্তি। এ বছরের শুরুতেই মাত্র শেষ হয়েছিল তার এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। ২০১৭ সালে পিএসএলে স্পট-ফিক্সিংয়ের মামলায় সহযোগিতা না করার দায়ে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছিল তাকে। এরপর আরেকটি ট্রাইবুনাল গঠন করে জামশেদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ এনেছিল পিসিবি। ২০১৭ সালে দুর্নীতি নিয়ে পিসিবির অনুসন্ধান চালুর পর জামশেদ তৃতীয় ক্রিকেটার, যিনি শাস্তি পেলেন। এর আগে ইংল্যান্ডে গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি।
পিসিবির সূত্র অনুযায়ী, কয়েকটি দূর্নীতির ঘটনার “অপরিহার্য অংশ” ছিলেন জামশেদ। দূর্নীতির মধ্যমণি হিসেবে বেশ কয়েকটি অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অন্য ক্রিকেটারদের ফিক্সিংয়ের জন্য বলাও একটি। ২০১৭ সালে পিএসএলে স্পট-ফিক্সিং স্ক্যান্ডালের একটা বিহিত হলো তাই এ রায়ের মধ্য দিয়ে।
পিসিবির সঙ্গে একই সময়ে আলাদাভাবে তদন্ত করছে ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি, এনসিএ। এনসিএ-র মামলাতেই ইংল্যান্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন জামশেদ। পরে তাকে ছেড়ে দিলেও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত চলছে।
পিসিবির যে ট্রাইবুনাল জামশেদকে শাস্তি দিয়েছে, এর প্রধান ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফজল-ই-মিরান চৌহান, সদস্য হিসেবে ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার আকিব জাভেদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি শাহজাইব মাসুদ।