রাজপুতকেই হেড কোচের দায়িত্ব দিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের অস্থির সময়ের মাঝে একটু স্বস্তি হয়ে হেড কোচের পূর্ণকালীন দায়িত্ব পেয়েছেন লালচাঁদ রাজপুত। তিন মাস ধরে অন্তবর্তীকালিন দায়িত্ব পালন করছিলেন সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ২০১৯ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাধা পেরুতে না পারার পর পুরো সাপোর্ট-স্টাফ সহ বরখাস্ত হয়েছিলেন আগের হেড কোচ হিথ স্ট্রিক। স্ট্রিকদের সঙ্গে আইনি বিতন্ডা চলছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের।
রাজপুতকে ঠিক কতদিনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেটা নিশ্চিত করা না হলেও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের এক মুখপাত্র বলেছেন, “দীর্ঘ মেয়াদ”-এরই চুক্তি হয়েছে তার সঙ্গে। মূল্য লক্ষ্য ২০২০ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি ও পরবর্তী বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করা।
নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার পরই ডামাডোলে নতুন করে পড়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। কোচিং প্যানেলের সবাইকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর শীর্ষ ক্রিকেটাররা নিজেদের বকেয়া পাওনার দাবিতে নিজেদেরকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরিয়ে রেখেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাই খেলেননি জিম্বাবুয়ের শীর্ষ পাঁচ ক্রিকেটার- ব্রেন্ডন টেইলর, গ্রায়েম ক্রেমার, সিকান্দার রাজা, ক্রেইগ এরভিন ও শেন উইলিয়ামস। এরপর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে আইসিসি, তাদের আর্থিক সহায়তার পর নতুন পরিকল্পনা করা হয়েছে বকেয়া বেতন ও ম্যাচ ফি পরিশোধে। পাঁচ ক্রিকেটারের চারজন ফিরেও এসেছেন গত মাসে। তবে জিম্বাবুয়েতে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সেরা ক্রিকেটার রাজা।
এই ডামাডোলে দায়িত্ব পেয়েও উচ্ছ্বসিত আফগানিস্তানের সাবেক হেড কোচ রাজপুত। জেডসি, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের সঙ্গে আলাদা এক সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন, “জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করাটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ ও সম্মানের। এই দলকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পেয়ে আমি খুশি। আসছে বছরগুলোতে কঠোর পরিশ্রম করে পরিবর্তন আনতে হবে।”
দলে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ফিরে আসাতেও উদ্দমী হয়েছেন রাজপুত, “তারা শক্তিমত্তায় বাড়তি কিছু যোগ করবে। ব্রেন্ডন টেইলর, শেন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ এরভিনের মতো ক্রিকেটারদের ফিরে আসাটা বড় একটা ব্যাপার।”
সেপ্টেম্বরের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় সীমিত ওভারের ক্রিকেটের একটা সফর আছে জিম্বাবুয়ের। এরপর দুই টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশে আসবে তারা। অন্তত ২০১৯ সালের জুলাইয়ের আগে ঘরের মাটিতে আর কোনও সিরিজ নেই জিম্বাবুয়ের।