বাড়তি চাপ নিতে চান না মিরাজ
সীমিত ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজের দায়িত্বটা যেন শূন্যস্থান পূরণের। অভিষেকের পর ১৪টি টেস্ট খেলে ফেললেও ওয়ানডে খেলেছেন ১১টি, টি-টোয়েন্টি ১০টি। সামনে এশিয়া কাপ, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। অবশ্য মিরাজের সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে (পাকিস্তান সুপার লিগ, পিএসএলে খেলা বাংলাদেশী ক্রিকেটারদেরও আছে), অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। এশিয়া কাপের চ্যালেঞ্জটা নিতে চান মিরাজ।
“দলের প্রয়োজনে যখন যেটা করতে হবে সেটা করাই আমার লক্ষ্য”, বলছেন মিরাজ, “দলের প্রয়োজনে পাওয়ারপ্লেতে বোলিং করতে হলে কিভাবে ব্যাটসম্যানকে রান করা থেকে থামিয়ে রাখব, উইকেট আদায় করতে পারব... মাঝের ওভারগুলোতে কিভাবে বল করব, এভাবে পরিকল্পনা করেই বল করি। এছাড়া ব্যক্তিগত কোন লক্ষ্য নেই, এটা করব বা সেটা করব...এমন কোন চিন্তা নেই। বাড়তি কোন চাপ নিতে চাই না। দলের চাহিদা অনুযায়ী পারফর্ম করে যেতে চাই।”
“ব্যাটিংটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন ব্যাট করতে নামি, তখন দলের হয়তো প্রয়োজন ১০-১৫ রান। অনেক সময় ৩০ রান দরকার থাকে। সেইখানে ১০-১৫ কিংবা ২০ রানের ইনিংস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করব ভালো কিছু করার, সেখানে কিভাবে ভালো করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করি ভালো হবে।”
চাপ না নিলেও চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন তিনি, “এটা আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। লক্ষ্য থাকবে ভালো কিছু করার। আর এশিয়া কাপ যেহেতু আরব আমিরাতে। যদি সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করব। আমি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছি ওখানে, উইকেট সম্পর্কে একটু হলেও ধারনা আছে। সব ঠিক থাকলে ভালো করার চেষ্টা করব।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে খেলেছিলেন মিরাজ। উইকেটের ধরনই সুযোগ করে দিয়েছিল তাকে। আরব-আমিরাতেও সুযোগ পেলে চ্যালেঞ্জটা অবশ্য একটু বেশি থাকবে তার। উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানদের স্পিন খেলার ধরনটা যে আলাদা। মিরাজ অবশ্য ব্যাপারটাকে আলাদা করে দেখছেন না, “আসলে ভালো বল কিন্তু সবার জন্যই ভালো। আমি চেষ্টা করব ভালো করার জন্য। হ্যাঁ, আমাদের উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানরা স্পিন ভালো খেলে। আমাকে আরও ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি যেই সময়টা পাব চেষ্টা করব নিজেকে প্রস্তুত করতে। যেহেতু আরব আমিরাতে খেলা, আমি যেই জিনিসগুলো জানি সেগুলো আরেকটু শাণিত করতে পারলে অবশ্যই ভালো করতে পারব।”
দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওপর নির্ভরশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এর আগে, জুনিয়রদের পারফরম্যান্সের পাশেও আছে প্রশ্নবোধক চিহ্ন। অবশ্য এসব না ভেবে ব্যাপারটা দলীয় হিসেবেই ভাবছেন মিরাজ, “আমরা শেষ চার বছর কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলে আসছি। বিশ্বকাপ দেখেন, দেশের বাইরে বলেন... আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি, দাপুটে ক্রিকেট খেলেছি। ওইটাই আমাদের আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটাররা অনেক দাপট দেখিয়ে খেলে আসছে। জুনিয়ররাও অবদান রেখেছে। সব মিলিয়ে আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী। আমরা যদি আমাদের শতভাগ দিতে পারি তাহলে ভালো কিছু হবে।”