• এশিয়া কাপ ২০১৮
  • " />

     

    বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির মুখোমুখি হচ্ছেন সাব্বির-নাসির-মোসাদ্দেক

    বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির মুখোমুখি হচ্ছেন সাব্বির-নাসির-মোসাদ্দেক    

    শৃঙ্খলাজনিত কারণে বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির মুখোমুখি হতে হচ্ছে জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার- সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেনকে। শনিবার ডাকা হয়েছে তাদের, তাদের সঙ্গে কথা বলার পরই তাদের শাস্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান। ক্রিকেটারদের জন্য মনোবিদ আনানোর চিন্তাও করছে বিসিবি। 

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ফেসবুকে এক দর্শকে “হুমকি” দিয়েছিলেন সাব্বির। এর আগে জাতীয় লিগে দর্শক পিটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ ছিলেন তিনি। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা পাননি তিনি, এমন সিদ্ধান্তের পেছনে তার আচরণের প্রভাব আছে বলেও জানিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। নাসিরের ব্যাপারটি “নারীঘটিত”, এর আগে একজনের সঙ্গে ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে। আর সম্প্রতি মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের মামলা করেছেন তার স্ত্রী। 

    বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলছেন, ক্রিকেটারদের সব ব্যক্তিগত ব্যাপারে নিজেদের জড়াতে চান না তারা। তবে দেশের “আইডল” হিসেবে ক্রিকেটারদের দায়িত্বটা মনে করিয়ে দেওয়াটা তাদের কাজ। আর এ ব্যাপারে বেশ কঠোরই হবেন তারা। 

    “হচ্ছে কি, ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা আছে, থাকতে পারে”, বলছেন নাজমুল, “সবকিছুতে বিসিবিকে জড়ালে হবে না। ডিভোর্স কি হয় না বাংলাদেশে? কেউ যদি ডিভোর্স দিতে চায়, তো আমরা কী করবো! কেউ যদি একাধিক বিয়ে করতে চায়, তাহলেও তো আমাদের কিছু করার নেই! সবকিছুর মধ্যে আমাদের ঢুকালে হবে না।”

    “আমরা মনে করি, ক্রিকেটাররা আইডল, তাদেরকে ভাল মানুষ হতে হবে। এটা মূল কথা। শাস্তি দিচ্ছি, এরপরও কাজ হচ্ছে না, তাহলে তো আরও কড়া শাস্তি দিতে হবে। কিছু জিনিস আছে, না জেনেও নিতে পারি না। অভিযোগ করতেই পারে, কিন্তু নিশ্চিত না হয়ে কিছু করা যাবে না। কিন্তু সেজন্য আমাদের কিছু সময় দিতে হবে।” 

    এমন অভিযোগ এলে ক্রিকেটারদের পাশে বিসিবি দাঁড়াবেনা বলেও জানিয়েছেন তিনি, “যারা অভিযুক্ত হয়েছে, বোর্ড তাদেরকে সাহায্যও করেনি। শুধুমাত্র রুবেল ছাড়া। সে সময় বিশ্বকাপ ছিল, আমরা চেষ্টা করেছিলাম তাকে দলে নেওয়ার। উলটো পদে পদে সাবধান করেছি, শাস্তি দিয়েছি।”

    তবে সাব্বিরের মতো ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে শাস্তিও কাজ করেনি “সাবধানতা অবলম্বন” করতে, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি, “যদি অপরাধ করে, তাহলে আমার কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত একটাই। জাতীয় দলে খেলতে পারবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ- এর বেশি আর কিছু কি করতে পারি আমরা!”

    শাস্তির পাশাপাশি অবশ্য আগে থেকেই ভূমিকা নিতে চাচ্ছে বিসিবি। তাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বাইরে থেকে মনোবিদ আনানো, বিদেশ সফরের সময় ক্রিকেটারদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা। একটা নীতিমালা করে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সমঝোতাও করা হবে, পরবর্তীতে সেসব শর্ত ভঙ্গ করলে শাস্তি হবে সে অনুযায়ীই।