• এশিয়া কাপ ২০১৮
  • " />

     

    স্ট্রাইক রেট ও স্ট্রাইক বদলানোর দিকে নজর মিঠুনের

    স্ট্রাইক রেট ও স্ট্রাইক বদলানোর দিকে নজর মিঠুনের    

    ২০১৪ সালের জুন মাসে দুইটি, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেকটি। মোহাম্মদ মিঠুন আবার একটি ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাননি। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী হয়েছিলেন শেষ, এশিয়া কাপের স্কোয়াডে আবার দলে ফিরেছেন তিনি। এবার অবশ্য ওপেনিং নয়, দলে সুযোগ হলে সাতে সাব্বির রহমানের জায়গাতেই খেলার সম্ভাবনা বেশি তার। সাতে নাজমুল হোসেন শান্তকে বাদ দিলে আপাতত মিঠুনের সঙ্গে ভাবা হচ্ছে আর দুইজনকে- মোসাদ্দেক হোসেন ও আরিফুল হককে। 

    দলের প্রয়োজনে ব্যক্তিগত লক্ষ্যকে পাত্তা দিচ্ছেন না মিঠুন, “আসলে দলের যখন একটা জিনিস প্রয়োজন হয় সেই জায়গায় নিজের পছন্দের দিকে লক্ষ্য করার কিছু নাই। সবার একটা লক্ষ্য থাকে, সেটা সবসময় পেরুনো যায় না। দলের স্বার্থে সব জায়গায় নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। যেখানেই আমি খেলব আমার লক্ষ্য থাকবে নিজের শতভাগ দেওয়া। আমার দ্বারা যেন দল উপকৃত হয়।”

    ছয়-সাতে সুযোগ পেলে স্ট্রাইক রেটের দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার ইচ্ছা মিঠুনের, “আমার ক্যারিয়ারের প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত যা খেলেছি ইতিবাচকভাবেই খেলেছি। আমি উইকেটে নেমে খুব বেশি সময় নিই না, থিতু হওয়ার জন্য। আমি চেষ্টা করি শুরু থেকেই রান করার। ছয় সাতে কিন্তু এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুরু থেকে নেমে স্ট্রাইক বদলানোর। এটা আমাদের মধ্যে আছে, ছোটবেলা থেকে এভাবেই খেলেছি। 

    “খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নাই। হ্যাঁ, হয়তো আগে ওপরে নতুন বলে খেলতাম, একটু বেশি সময় নিয়ে খেলতে পারতাম, এখন হয়তো সময় কম পাব। আমার মনে হয় ছয় সাতে খেলে ১০০-১১৫ স্ট্রাইক রেটে খেলতে পারলে সেটা বেশ ভালো হবে।”

    এমনিতে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান, তবে জাতীয় দলে সেটার সুযোগ মেলার সম্ভাবনা কমই। মুশফিকুর রহিম আছেন, প্রথম একাদশে খেলার সম্ভাবনা যার বেশি, সেই লিটন দাসও উইকেটকিপার। আপাতত তাই উইকেটকিপিং নিয়ে ভাবছেন না মিঠুন, তবে করতে হলে আলাদা করে তার প্রস্তুতির দরকার নেই বলেও জানিয়েছেন, “আমি তো কিপিং করি না (জাতীয় দলে), আমার চাপ নেওয়ারে কিছু নাই। কিপিং আমি ছোটবেলা থেকে করি, সেটার জন্য আমার আলাদা করে প্রস্তুতি নেওয়ারও কিছু নেই।”