যাওয়ার আগে কিছু পেসার প্রস্তুত করে যেতে চান ওয়ালশ
২০১৬ সালের আগস্টে কোর্টনি ওয়ালশ বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর সব ফরম্যাট মিলিয়ে অভিষেক হয়েছে ছয়জন পেসারের। কামরুল ইসলাম, শুভাশীষ রায়, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু জায়েদ, আরিফুল হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্টে অভিষেক হয়েছে আবু জায়েদের। সাইফউদ্দিন ও আরিফুলের টেস্ট অভিষেক হয়নি এখনও।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিবর্ণ ছিল বাংলাদেশের পেস আক্রমণ। তরুণ এই পেসারদের আরও বেশি সুযোগ দিতে বলছেন ওয়ালশ, তাদের কাছ থেকে সেরাটা পেতে। ২০১৯ সালে নিজের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই কিছু পেসার প্রস্তুত হয়েছে- এমনটা দেখে যেত চান তিনি।
“বলতে গেলে আমরা খুব বেশি টেস্ট খেলিনি। তবে অবশ্যই উন্নতি হয়েছে। সফরে থাকলে আমরা শুধু চারদিনের ম্যাচই খেলার সুযোগ পাই। কিছু তরুণ দলে আসছে। আশা করি, আমার সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই কিছু ফাস্ট বোলার তৈরি করে যেতে পারব। দূর্ভাগ্যক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তারা সেভাবে ইমপ্যাক্ট রাখতে পারেনি, আমি যেভাবে চেয়েছিলাম। আশা করি পরের টুর্নামেন্টে তারা ভাল করতে পারবে। আমি এখনও আশাবাদি”, বলেছেন ওয়ালশ।
“এটা এখনও চলমান একটা কাজ। বেশ কিছু তরুণ উঠে আসছে। যদি তারা সুযোগ না পায়, তাহলে তারা কেমন সেটা জানা যাবে না। এ ব্যাপারে আমাদের আরেকটু খেয়াল রাখতে হবে। তরুণদের নিজেদের প্রকাশ করার সুযোগ দিতে ভয় পেলে চলবে না।
“যদি তাদেরকে শুধু অপেক্ষাতেই রাখা হয়, তাহলে তারা কখনোই সুযোগ পাবে না। যত বেশি খেলতে পারবে, তত বেশি শেখার সুযোগ পাবে। খেলার মাধ্যমেই আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে। মাঝে মাঝে এই তরুণদের ছেড়ে দিতে হয়, তারা কেমন সেটা বাজিয়ে দেখতে। যদি তারা প্রস্তুত নয় বলে তাদেরকে আগলে রাখেন, তবে তারা কখনোই প্রস্তুত হবে না। মাঝে মাঝে আপনাকে মেধাবিদের বিকশিত করতে হবে, তাদেরকে সুযোগ দিতে হবে।”
তরুণদের মাঝে ভাল করার তাড়নাটাও খুব ভালভাবে আছেই বলেই ধারণা তার, “আমার মনে হয় না, তাদের তাড়নার অভাব আছে। তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এখানেই পার্থক্যটা আসতে পারে। দুই-এক ম্যাচ পরই তরুণদের বাদ দিলে হবে না।
“আপনার ম্যাচ ভাল খারাপ দুটিই যেতে পারে। আমি দেখেছি, একটা ম্যাচ খারাপ গেলেই সবাই আপনাকে বাদ দিতে বলে। তরুণদের ক্ষেত্রে এটা কাজে আসবে না। আমাদের সবারই খারাপ ম্যাচ যেতে পারে, তবে এমন হলে শুধরে নেওয়ার সুযোভটা দিতে হবে। ঠিক ভারসাম্যটা খুঁজে বের করার ব্যাপার। তরুণরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করতে চায়। তাদেরকে শুধু সুযোগটা দিতে হবে।”
মাশরাফির নেতৃত্বে এশিয়া কাপে পেস বোলাররাও ভাল করবেন বলেই আশা তার।