শ্রীলংকার বিপক্ষে জয়ে বাংলাদেশের যত রেকর্ড
দিনের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, শেষটা হলো ঠিক তার উল্টো। শ্রীলংকাকে ১৩৭ রানে হারিয়ে দারুণ এক জয় দিয়েই এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। দুবাইতে এই জয়ের রাতে মাশরাফির দল ছুঁয়েছে বেশ কয়েকটি মাইলফলক।
৫
পঞ্চম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে এশিয়া কাপে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিক।
৫৫.১৭
কাল মুশফিক করেছেন ১৪৪ রান। বাংলাদেশের রান ছিল ২৬১। দলের মোট রানের ৫৫.১৭ শতাংশই এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে, যা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ। এর আগের রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকবালের, ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৫ রান করেছিলেন। দলের মোট রানের ৫৪.৮২ শতাংশ করেছিলেনে তিনি।
১২৪
বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই শ্রীলংকার সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪৭ রানে অলআউট হয়েছিল লংকানরা।
১৩৭
প্রথম ম্যাচে ১৩৭ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে ওয়ানডেতে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে সবচেয়ে বড় জয় ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে তাদের ১২১ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়ের দিক দিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে। শ্রীলংকার বিপক্ষে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়।
এশিয়া কাপে এর আগে এত রানের ব্যবধানে কখনোই হারেনি শ্রীলংকা। ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষকে ৮৬ রানে হেরেছিল তারা, এটাই ছিল এতদিন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হার। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা এই তিন দলের কেউই ১৩৭ রানের ব্যবধানে এশিয়া কাপে হারেনি। ২০০৮ সালে শ্রীলংকার কাছে ১০০ রানে হেরেছিল ভারত, এটাই ছিল এতদিন পর্যন্ত এই তিন দেশের সবচেয়ে বড় হারের ব্যবধান।
১৪৪
মুশফিকের ১৪৪ এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলির ২০১২ সালে করা ১৮৩ রানই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মাঝে মুশফিকের চেয়ে বড় ইনিংস খেলেছেন শুধু তামিমই। তার ১৫৪ রানের ইনিংসই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা।