পাকিস্তানের সামনে হংকংয়ের হাহাকার
হংকং ১১৬ (আইজাজ ২৭, উসমান ৩/১৯)
পাকিস্তান ১২০/২, ২৪.৪ ওভার (ইমাম ৫০, এহসান ২/৩৪)
পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী
বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা হংকংকে প্রথম ম্যাচে ১১৬ রানে অল-আউট করার পর ইমাম-উল-হকের ফিফটিতে ৮ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান, ১৫৮ বল বাকি থাকতে। ব্যাটিংয়ে কিঞ্চিত শাহ ও আইজাজ খানের ৫ম উইকেট জুটিতে ৫৩ রানের পর বোলিংয়ে দুইবার উল্লাসের সুযোগ পেয়েছে হংকং। অবশ্য অদ্ভুত আম্পায়ারিংয়ে আরও দুবার উইকেটবঞ্চিত হয়েছে তারা। এসব বাদে পাকিস্তান জিতেছে হেসেখেলেই।
দুবাইয়ের গরমে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিল হংকং। মোহাম্মদ আমিরের প্রথম ওভারে ১১ রান ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিলেও সেসব মিলিয়ে গেছে শীঘ্রই। পয়েন্ট থেকে শাদাব খানের সরাসরি থ্রো-তে প্রথমে ফিরেছেন নিজাকাত খান। ফাহিম আশরাফের বেরিয়ে যাওয়া বলে এরপর খোঁচা মেরে সফট ডিসমিসালে পরিণত হয়েছেন অধিনায়ক আনশুমান শাহ।
নিজের প্রথম ওভারে এসেই জোড়া উইকেট নিয়েছেন শাদাব খান। বাবর হায়াত হয়েছেন স্টাম্পড, এহসান খান এলবিডব্লিউ। ৪৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছে হংকং। এরপরই কিঞ্চিত-আইজাজের ফিফটি জুটি, যা ভেঙেছেন উসমান শেনওয়ারি, আইজাজ খানকে বোল্ড করে। সে ওভারে আরও দুই উইকেট নিয়েছেন শেনওয়ারি, ৯৭ রানে ৫ উইকেট থেকে হংকং বনে গেছে ৯৭ রানে ৮ উইকেটে!
হাসান আলির একমাত্র উইকেট ছিলেন কিঞ্চিত শাহ, রান-আউটে শেষ হয়েছে হংকং ইনিংস।
দ্রুত প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ায় ১০ মিনিটের বিরতিতেই ব্যাটিংয়ে নেমেছিল পাকিস্তান। ৭ ওভারে ৩৫ রান নিয়ে ডিনারে গেছে পাকিস্তান। হংকং দুটি উইকেটই পেয়ছে একইভাবে, ফাখার জামান ও বাবর আজম কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপার স্টুয়ার্ট ম্যাককেচনির হাতে। বাবর এর আগেই পূর্ণ করেছেন ক্যারিয়ারে ২০০০ রান।
অবশ্য ইমামকে দুইবার পেতে পারতো হংকং। প্রথমে এলবিডব্লিউয়ে রিভিউ নিয়েছিল হংকং, তবে টেলিভিশন আম্পায়ার রড টাকার সেটা নাকচ করেছেন ইনসাইড-এজের কারণে। যদিও আল্ট্রা এজে বল ব্যাটে লাগার দৃঢ় প্রমাণ ছিল না। এরপর আরেকবার প্লামব হয়েছিলেন ইমাম, তবে আম্পায়ার শন জর্জ এবার আউট দেননি, রিভিউও ছিল না তাদের। ইমাম “দুই জীবন” কাজে লাগিয়ে ঠিকই ফিফটি করেছেন, ক্যারিয়ারে যা দ্বিতীয়।