আজ অনেক বেশি এলোমেলো ছিলাম আমরা : মাশরাফি
আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের মধ্যে মিল- দুটিতেই বেশ বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দুটিতেই ব্যাটিং ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে চরমভাবে। তবে একটা অমিল আছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসের ৪০ ওভার পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করা দলের নাম ছিল বাংলাদেশ। আর ভারতের বিপক্ষে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণটা হারিয়েছে বাংলাদেশ। মাশরাফি-মিরাজের ৮ম উইকেট জুটি খানিকটা আশা জুগিয়েছিল, তবে সেটা শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়তে পারেনি কোনও। অধিনায়ক মাশরাফিও বলছেন, আজ বড্ড এলোমেলো ছিল তার দল।
তামিমের এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে আগেই, ওপেনিংয়ে তাই নতুন জুটি খেলছে গত ম্যাচ থেকে। তবে লিটন ও শান্ত, দুজনই ছুঁড়ে এসেছেন উইকেট। ‘আনপ্লেয়েবল ডেলিভারি’র মতো কিছু ছিল না, সেগুলোতেই আক্রমণ করতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকেছেন তারা। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খারাপ ছিল না, ২৫০-৬০ রান করাটা দরকার ছিল বলে মনে করেন মাশরাফি, “শুরু থেকেই উইকেট হারানো শুরু করেছি, আমরা আজ অনেক বেশি এলোমেলো ছিলাম।”
টানা দুইদিন দুই ম্যাচ, এমন কন্ডিশনে সেটাও নিজেদের বাজে পারফরম্যান্সের ঢাল হতে পারে বলে মানছেন না মাশরাফি। টানা ম্যাচের ধকল থেকে রেহাই দিতে আগেরদিন বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল মুশফিক-মুস্তাফিজকে। তবে ব্যাটিংয়ের আরও অনেকের মতোই উইকেট ছুঁড়ে এসেছেন মুশফিকও।
“এ উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য খারাপ ছিল না। আমরা ২৫০-৬০ করতে পারতাম”, ম্যাচশেষে বলেছেন মাশরাফি, “দ্বিতীয় ইনিংসে হয়তো ব্যাটিংয়ের জন্য আরেকটু সহজ ছিল, তবে প্রথম ইনিংসে ২৬০-৭০ পর্যন্ত করা যেতো।”
দোষটা ব্যাটসম্যানদেরই দিচ্ছেন তিনি, “১৭০ ডিফেন্ড করাটা বোলারদের জন্য অনেক কঠিন। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে, বিশেষ করে টানা দুই ম্যাচে এমন ব্যর্থতার পর।”
প্রথম ম্যাচ হেরে ফাইনালের পথটা বেশ কঠিন হয়ে গেল এখন বাংলাদেশের। পরের দুই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এরই মাঝে নাকানিচুবানি খেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদেরই এগিয়ে আসতে বলছেন টুর্নামেন্টের পরের ম্যাচগুলোতে, “পরের ম্যাচটা কঠিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে, যাদের অনেক ভাল বোলার আছে। আমাদের ভাল ব্যাটিং করতে হবে।”
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ ১০ ওভারের বোলিং নিয়ে নিজেই বলেছিলেন মাশরাফি, তবে এদিন বললেন শুধু ব্যাটসম্যানদের কথাই। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা তো প্রথম ইনিংসেই হেরে গেল বাংলাদেশ।