সৌম্য-ইমরুলদের 'প্রস্তুতি' নিয়ে মাশরাফির প্রশ্ন
উত্তর আসবেই জানা ছিল অবধারিতভাবে। মাশরাফি বিন মুর্তজা অফ স্টাম্পের ঠিক পাশ ঘেঁষা ডেলিভারিটা ছেড়ে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু বোমাটা খুব একটা কম জোরে ফাটল না। বরং সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে উড়িয়ে আনার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ অধিনায়ক জানেন না, এটা বলে ভুরু কুঁচকে দিলেন অনেকের।
প্রথম বোমাটা ফেটেছিল কালই। হুট করে বিসিবি এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জানাল, সৌম্য ও ইমরুলকে এশিয়া কাপের দলের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। দুজনেই খুলনাতে এইচপির ম্যাচ খেলছিলেন, সেখান থেকে অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায় এশিয়া কাপের জন্য এখন দুবাইয়ের বিমানে চড়ে বসতে হবে। অথচ এত কিছু হয়ে গেল, সেসব জানতেনই না মাশরাফি বিন মুর্তজা। কাল ম্যাচ শেষেই তা স্বীকার করলেন, ‘আমি মাঠে ছিলাম। এটা জানি না এখনও। এখনও পরিষ্কার নয় আমার কাছে। শুনছিলাম এ রকম কথা, তবে জানতাম না যে হয়েছে।, তখন সিদ্ধান্তটা কে নিয়েছেন সেই প্রশ্নটাও উঠে যায়। টিম ম্যানেজমেন্টই যখন জানে না, তখন এই সিদ্ধান্তে বাইরের হস্তক্ষেপের ব্যাপার বলে না দিলেও চলে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু। এরপর টানা দুই ম্যাচ খুব বাজেভাবে হেরে মুদ্রার অন্য পিঠ দেখতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। চাপটাও বাড়ছে দিন দিন। এই অবস্থায় নতুন দুজন কতটুকু কী করতে পারবেন সেটা নিয়ে মাশরাফির নিজেরই দ্বিধা আছে, ‘যারা আসছে, তারাও কিন্তু দল থেকে ছিটকে পড়েছিল। আমি এখনও জানি না, আলোচনা হয়নি। তবে ওরাও কিন্তু পারফর্ম না করেই দল থেকে বাদ পড়েছিল। হুট করে এই কন্ডিশনে এই ধরনের টুর্নামেন্টে এসে আবার সেই চাপ নিয়ে কতটা পারবে…!”
সর্বশেষ গত বছর ওয়ানডে খেলার পর দল থেকে বাদ পড়েছিলেন সৌম্য-ইমরুল। এরপর ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক, কোনো ওয়ানডেতেই বলার মতো কিছু করতে পারেননি কেউ। যে সমস্যার কারণে দলে জায়গা পাননি, সেই সমস্যা কতটা কাটিয়েছেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন মাশরাফি, ‘জানি না, টেকনিক্যালি ওরা কতটা কাজ করেছে। যে সমস্যাগুলো নিয়ে দলের বাইরে গিয়েছিল, তা নিয়ে কাজ করেছে কিনা, জানি না। এগুলো সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আরও কঠিন বোলারদের খেলতে হবে। এটা নিশ্চিত যে যারা আছে, তাদের জন্য যেমন সহজ হবে না, যারা আসবে তাদের জন্যও সহজ হবে না।’