• এশিয়া কাপ ২০১৮
  • " />

     

    ধাওয়ান-রোহিতে উড়ে গেল পাকিস্তান

    ধাওয়ান-রোহিতে উড়ে গেল পাকিস্তান    

    পাকিস্তান ৫০ ওভারে ২৩৭/৭ (মালিক ৭৮, সরফরাজ ৪৪; বুমরা ২/২৯, যাদব ২/৪১ চাহাল ২/৪৬)

    ভারত ৩৯.৩ ওভারে ২৩৮/১ (ধাওয়ান ১১৪, রোহিত ১১১*)

    ফলঃ ভারত ৯ উইকেটে জয়ী


    একরফতা, একপেশে। ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে যতই মাতামাতি হোক, ম্যাচের আগে যতই উত্তেজনার পারদ চড়ুক, বাস্তবে লড়াইটা এমন একপাক্ষিকই হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানকে আরও একবার উড়িয়ে দিয়েছে ভারত, রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের সেঞ্চুরিতে পেয়েছে ৯ উইকেটের সহজ জয়। ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের ফাইনালেও এখন নিজেদের সিটের জন্য বুকিং দিয়ে রাখতে পারে তেরঙ্গা সমর্থকেরা।

    লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না। তারপরও ২৩৭ রানটা এমন ছেলেখেলা বানিয়ে ফেলবে ভারত, সেটাই বা কে ভেবেছিল? সেজন্য পাকিস্তান ফিল্ডাররা নিজেদের দোষ দিতেই পারেন। ফিল্ডাররা অমন ক্যাচ ছাড়ায় সেটার মাশুল দিতে হয়েছে। রোহিত শর্মা ইনিংসের শুরুতেই যে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন, সেটা হাতে জমাতে পারেননি ইমাম উল হক। ষষ্ঠ ওভারে এসে ম্যাচটা বোধ হয় ফেলে দিয়েছেন ওখানেই।

    তবে সেজন্য ধাওয়ান আর রোহিতের কৃতিত্ব ভুলে যাওয়া অন্যায় হবে। এই টুর্নামেন্টে দুজনেই দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন, আজও আরও একবার ভারতের অন্য ব্যাটসম্যানদের ঘামই ঝরাতে দেননি। রোহিত শুরু থেকে একটু সতর্ক ছিলেন, কিন্তু ধাওয়ান ছিলেন দারুণ স্বচ্ছন্দ। এই ম্যাচের জন্য মোহাম্মদ আমিরকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, উসমান শেনোয়ারি ছিলেন না। শাদাব খানও চোট কাটিয়ে ফিরেছেন, কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। ধাওয়ান-শর্মার সামনে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেননি কেউই। এতোটাই নখদন্তহীন ছিলেন, ধাওয়ানের একমাত্র উইকেটটাও নিতে পারেননি কোনো বোলার, হয়েছেন রান আউট।

    একটা সময় সেঞ্চুরি কে আগে পাবেন, সেটা নিয়েই প্রতিযোগিতা হচ্ছিল। সেই দৌড়ে এগিয়ে গেছেন ধাওয়ান, রোহিতের খানিকটা আগেই পেয়ে গেছেন সেঞ্চুরি। পরে রোহিতও তুলে নিয়েছেন নিজের ১৯তম সেঞ্চুরি। তার আগে দুজনের ওয়ানডেতে আরেক বার শত রানের জুটি গড়েছেন, ওয়ানডেতে যা নিজেদের ১৩তম, ছাড়িয়ে গেছেন শেওয়াগ-শচীনের ১২টি সেঞ্চুরি জুটির কীর্তি, সামনে শুধু শচীন-সৌরভের ২১টি সেঞ্চুরি জুটি। পরে দুজনের ২০০ রানের জুটিও হয়ে গেছে, থেমেছেন ২১০ রানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের এটাই ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ধাওয়ান ১১৪ রানে আউট হলেও রোহিত অপরাজিত ছিলেন ১১১ রানে।

    তার আগে অবশ্য শেষ দিকে আসল কাজটা করেছেন জাসপ্রিত বুমরা। শোয়েব মালিক আজও হয়ে উঠছিলেন বিপজ্জনক, একটা সময় মনে হচ্ছিল পাকিস্তানকে ২৫০-২৬০ পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। কিন্তু বুমরার বলে ৯০ বলে ৭৮ রানে আউত হওয়ার সময়ই পাকিস্তানের পতনের শুরু। শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তান ৬৮ রান নিয়েছে, এর মধ্যে আবার ভুবনেশ্বরের এক ওভার থেকেই এসেছে ২২। বুমরা ৪ ওভার করে ১৬ রান দিয়েছেন, আসিফ আলীর ২১ বলে ৩০ রান ছাড়া আর কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দিন শেষে ২৩৭ রান যথেষ্ট হওয়া দূরে থাক, লড়াই করার মতোও হয়নি।