চাপে ব্যাটিং করাটা উপভোগ করি: মাহমুদউল্লাহ
যখন তিনি ক্রিজে আসলেন, বাংলাদেশ তখন ঘোর সংকটে। ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখালেন মাহমুদউল্লাহই। মাহমুদউল্লাহর ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ, ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনিই। মাহমুদউল্লাহ বলছেন, ক্রিজে নেমে চাপে থাকলেই নিজের সেরাটা দিতে পারেন।
হারলেই এশিয়া কাপ শেষ হয়ে যেত বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা মরা ম্যাচে চাপ সামলে দলকে জয়ের জন্য পুঁজি এনে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। চাপেই খেলতে ভালোবাসেন, জানালেন তিনি, ‘চাপে আসলে খেলতে ভালোই লাগে! চাপে ব্যাটিং করলে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগটা বেশি পাই। ক্রিকেটে চাপ সবসময়ই থাকবে। সেটাকে সামাল দেওয়ার উপায়টা খুঁজে নেওয়াই আসল লক্ষ্য।’
রশিদ খানের বোলিং আগের ম্যাচে সামলাতে পারেননি দলের ব্যাটসম্যানরা। কালকেও বোলিংয়ে এসে স্পিনজাদু দেখাতে শুরু করেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ বলছে, রশিদের বিপক্ষে যেভাবে চেয়েছিল দল, সেভাবে কেউই খেলতে পারেননি, ‘আমরা সবাই জানি রশিদ খান দুর্দান্ত একজন বোলার। কিন্তু এর মানে তো এই নয় যে তাকে খেলাই যায় না! হয়ত আমরা তাকে খেলার উপায়টাই বের করতে পারিনি।’
আগের ম্যাচে না পারলেও কাল ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটি দারুণ সামলেছেন রশিকে। মাহমুদউল্লাহ জানালেন এর ‘রহস্য’, ‘আমার আর ইমরুলের লক্ষ্য ছিল রশিদকে উইকেট দেবো না। খুব বেশি কিছু করতে হয়নি। তাকে খুব সাবধানে খেলেছি। মাথায় বেশি ভাবনা আনিনি। চার দিনের ব্যবধানে দুটি ম্যাচ খেলতে নামলে আসলে বেশিকিছু ভাবারও থাকে না। ফাঁকা মাথায়ই খেলছিলাম।’
শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচ জিতিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের প্রশংসায় ভাসলেন মাহমুদউল্লাহও, ‘মুস্তাফিজকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। সে হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যায় ভুগছিল। শেষ ওভারে ৮ রান পুঁজি নিয়ে বোলিং করা সহজ কাজ না।’
সুপার চারের শেষ ম্যাচে ২৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।