বাঁহাতি-স্পিনারহীন বাংলাদেশের বিরল দিন
পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশে নামগুলো পড়তে পড়তে শুরুতেই নিশ্চয় চমকে উঠেছেন। সাকিব আল হাসান দলে নেই! খানিক পর আরেকটু চমকে ওঠার পর, বাঁহাতি স্পিনে যিনি সাকিবের বিকল্প হতে পারতেন সেই নাজমুল ইসলাম অপুও নেই। একাদশে শেষ কবে কোনো স্পেশালিস্ট স্পিনার ছাড়া (মুমিনুল হককে পার্টটাইম স্পিনার হিসেবেই ধরা হচ্ছে) বাংলাদেশ নেমেছে, সেটা মনে করতে মোটামুটি গলদঘর্ম হতে পারেন। তবে পরিসংখ্যান মনে করিয়ে দিচ্ছে, সর্বশেষ চার বছর আগে কোনো স্পেশালিস্ট বাঁহাতি স্পিনার ছাড়া ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আর গত ১৬ বছরে এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো ওয়ানডেতে বাঁহাতি স্পিনার নেই বাংলাদেশের।
এনামুল হক মণি, মোহাম্মদ রফিকদের দিয়ে শুরু। এরপর বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনের ঝাণ্ডা অনেক দিন ওয়ানডেতে টেনে নিয়ে গেছেন আবদূর রাজ্জাক। মাঝে মধ্যে দুই সানি, ইলিয়াস ও আরাফাত, এনামুল জুনিয়র, সোহরাওয়ার্দি শুভ, মানজারুল রানারা ছিলেন। মোশাররফ হোসেন, সানজামুল ইসলাম, তাইজুল ইসলামরা ওয়ানডেতে খেলেছেন গত কয়েক বছরের মধ্যে। আর কেউ না থাকলে সাকিব তো ছিলেনই।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোনো বাঁহাতি স্পিনার ছাড়া নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছিল। তার আগে কোনো বাঁহাতি স্পিনার ছাড়া নামার সর্বশেষ ম্যাচ ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। সেই সিরিজে কোনো বাঁহাতি স্পিনার ছাড়াই প্রোটিয়াদের সঙ্গে খেলেছিল বাংলাদেশ। বলাই বাহুল্য, হেরেছিল প্রতিটি ম্যাচেই। সব মিলে আজকের ম্যাচসহ ১১ বার কোনো স্পেশালিস্ট বাঁহাতি বোলার ছাড়া ওয়ানডেতে নেমেছে বাংলাদেশ। বলাই বাহুল্য, হেরেছে সবকটি ম্যাচেই।
আগের ম্যাচেই সাকিব ও অপুকে নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। আজ সাকিব নেই, রুবেল এলেন অপুর জায়গায়। পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে ডান হাতি ব্যাটসম্যানের আধিক্য। তারপরও কোনো বাঁহাতি স্পিনার না নেওয়ার কতটা মাশুল বাংলাদেশকে দিতে হবে, সেটা জানা যাবে সময় হলেই।