সেঞ্চুরি নয়, শেষ পর্যন্ত থাকেননি বলেই আক্ষেপ মুশফিকের
বাংলাদেশ দল তখন তাঁকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানানোর অপেক্ষায়। আর মাত্র এক রান হলেই সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হয়ে যাবে মুশফিকুর রহিমের, খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আবারও পাবেন তিন অঙ্কের দেখা। কিন্তু শাহীন শাহ আফ্রিদির বলটা ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন উইকেটের পেছনে। ৯৯ রানে আউট হয়ে গেলেন মুশফিক, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম বার কারও এই দুর্ভাগ্য হলো। তবে সেঞ্চুরি মিসের যতটা না দুঃখ, শেষ পর্যন্ত থাকতে না পারার আক্ষেপটা আরও বেশি পোড়াচ্ছিল মুশফিককে। আর শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারানোয় সব আক্ষেপ ম্যাচ শেষে ধুয়েমুছে গেলে বলেও জানালেন।
ওই সময় যেভাবে আউট হলেন, তাতে মুশফিকের দুঃখ থাকতেই পারে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র এক রানের দূরত্বে আউট হওয়া, এই আফসোস তো যাওয়ার নয়। ক্রিকেটে অনেক মহারথীর এই অভিজ্ঞতা আছে, মুশফিকেরও তা হলো। তবে ওই সময় ওভাবে আউট হওয়ার জন্য আরও বেশি খারাপ লেগেছে তাঁর। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেই বললেন মুশফিক, ‘আমি জেতার পর থেকে দুঃখ পাচ্ছি না। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, দল আগে। ২৬০ করে সেঞ্চুরি করে দল হারলে ভালো লাগত না। আমার দুঃখ ছিল, একটা সেট ব্যাটসম্যানের ৪৮-৪৯ ওভার পর্যন্ত থাকা উচিত ছিল। সেজন্য আমরা শেষ ২০ ওভারে ১০০ রানের বেশি করতে পারিনি। দিন শেষে দলের জেতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আলহামদুদিল্লাহ সেটা আমরা করতে পেরেছি।’
তার আগে ম্যাচ শেষে মিঠুনকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন মুশফিক। পরেও বললেন তাঁর কথা, ‘মিঠুন ওই সময় আমকে বেশ সাপোর্ট দিয়েছে। দেখুন, আমাদের ওদের পাশে থাকতে হবে। প্রথম ম্যাচে ও যেমন ৬০ করে আউট হয়ে গিয়েছিল। ওদিন ও সেঞ্চুরি পেলে আত্মবিশ্বাস বেশি থাকত। পরের কয়েকটা ম্যাচে যেমন রান পায়নি। আজ আবার রান পেয়েছে, এখন সে আবার নিজের ওপর বিশ্বাসটা ফিরে যাবে। আমাদেরও তাই তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। আমি তো বলব, আজ তরুণরাই আমাদের নায়ক ছিল।’
ফাইনালেও তরুণদের কাছ থেকে এমন কিছুই চাইবেন মুশফিক।