লিটন আর মিরাজ 'চমকে' বাংলাদেশের অনেক রেকর্ড
কাল ফাইনালের আগে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছিলেন, একটা চমক দেখাতে পারে বাংলাদেশ। ‘আউট অব দ্য বক্স’ চিন্তা করতে পারে। সেই চমক যে এভাবে কাজে দেবে, তা কে জানত? লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের উদ্বোধnI জুটি যে এভাবে চমকে দেবে, তা কে ভেবেছিল? ১২০ রানের এই জুটিতেই বাংলাদেশ পেয়েছে ভারতের সঙ্গে বড় স্কোরের ভিত।
উদ্বোধনী জুটিই এই এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ছিল। প্রথম ম্যাচে সব মিলে যেখানে ওপেনিংয়ে এসেছিল মাত্র ৫২ রান, সর্বোচ্চ জুটি ছিল ১৬ রানের, সেখানে ফাইনালেই হয়ে গেল শত রানের জুটি। ভারত জেনে ভয় পাবে, নয় বার ফাইনালে তাদের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে ৭০ রানের চেয়ে বেশি উদ্বোধনী জুটি হয়েছে। সেই নয় বারের একবারও জিততে পারেনি ভারত।
তার চেয়েও বড় কথা, প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি সময় পর ওপেনিং জুটিতে শত রান পেল বাংলাদেশ। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কাইয়েস নিউজিল্যাণ্ডের সঙ্গে নেলসনে করেছিলেন ১০২ রান। এর পর ২৭ ওয়ানডেতে আর কোনো উদ্বোধনী জুটি পায়নি বাংলাদেশ। আর তামিম ইকবালকে ছাড়া বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডেতে শত রান করেছিল ২০১৪ সালে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েস মিলে করেছিলেন। আজ ১২০ রানে থেমে গেল মিরাজ ও লিটনের জুটি। ৩২ রান করে আউট কেদার যাদবের বলে আউট হয়েছেন মিরাজ, নিজের কাজটা করে গেছেন এর আগেই। আর লিটনের ওয়ানডেতে ফিফটি হয়ে গেছে ৩৩ বলে, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছুঁয়েছেন। ২০১০ সালে মিরপুরে তামিম ইকবালও করেছিলেন ৩৩ বলে ফিফটি।