• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    তুষার-আরিফুলের সেঞ্চুরি, শফিউলের ৫ উইকেট

    তুষার-আরিফুলের সেঞ্চুরি, শফিউলের ৫ উইকেট    

    খুলনা-রাজশাহী, রাজশাহী
    টস- খুলনা (ব্যাটিং) 
    ১ম দিনশেষে 
    খুলনা ১ম ইনিংস ২১০ (তুষার ১০৪, নাহিদুল ২৬, শফিউল ৫/৪৩, দেলোয়ার ২/৩৩) 
    রাজশাহী ১ম ইনিংস ১২২/১* (মিজানুর ৭৪*, শান্ত ৪৬, আফিফ ১/৫) 


    আগের মৌসুমে তুষার করেছিলেন পাঁচ সেঞ্চুরি, সেই ফর্মটাকেই টেনে আনলেন এই মৌসুমের শুরুতেও। জাতীয় লিগের প্রথম দিন ক্যারিয়ারের ২৯তম ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি করেছেন তুষার। তবে তার ১০৪ রানের ইনিংসের পরও ২১০ রানে অল-আউট হয়ে গেছে খুলনা, শফিউল ইসলামের বোলিং তোপে। এই ডানহাতি পেসার ৪৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টপ অর্ডারের পর খুলনার মিডল অর্ডারও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন তিনিই। 

    দিনশেষে মিজানুরের অপরাজিত ৭৪ ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৪৬ রানে ১২২ রান তুলেছে রাজশাহী, ৯ উইকেটে পিছিয়ে আছে ৮৮ রানে। 

    রাজশাহীতে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল খুলনা। ৩৪ রানে ফিরেছেন টপ অর্ডারের তিনজন- রবিউল ইসলাম, এনামুল হক ও আফিফ হোসেন। ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়েছিল খুলনা। তুষার একদিকে অবশ্য খেলেছেন আক্রমণাত্মক ইনিংস, ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৪৪ বলে ১৪ চার ও ২ ছয়ে করেছেন ১০৪ রান। এর আগে ৮ম উইকেটে নাহিদুলের সঙ্গে গড়েছেন ৮৮ রানের জুটি। 

    শফিউলের ৫ উইকেট ছাড়া দেলোয়ার ও সানজামুল নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট, ফরহাদ রেজা নিয়েছেন একটি। 

    রাজশাহী ওপেনিং জুটিতেই পেরিয়েছে ১০০, ফিফটির চার রান দূরে আফিফের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন শান্ত। দিনের শেষদিকে এই ব্রেকথ্রু পেয়েছে খুলনা। মিজানুরের ৭৪ রান এসেছে মাত্র ৮৮ বলে, মেরেছেন ১৩টি চার। 


    রংপুর-বরিশাল, বগুড়া 
    টস- বরিশাল (ফিল্ডিং) 
    রংপুর ১ম ইনিংস ৩০০/৫* (আরিফুল ১১৭, নাঈম ৯২, জাহিদ ৬২, সোহাগ গাজি ২/৮৮) 


    মীম মোসাদ্দেক, মাহমুদুল হাসান লিমন, তানভীর হায়দার- রান করার সুযোগ মিস করেছেন তিনজনই। যেটা করেননি জাহিদ জাভেদ, নাঈম ইসলাম ও আরিফুল হক। দলীয় ১২ রানে মীম ফিরেছিলেন, তবে আরেক ওপেনার জাহিদ করেছেন ৬২। ১০১ রানে ৪ উইকেট পড়েছিল রংপুরের। ৫ম উইকেটে নাঈম ও আরিফুল মিলে করেছেন ১৯৫ রানের জুটি। ৯২ রানে সোহাগ গাজীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সেঞ্চুরিটা মিস করেছেন নাঈম, তবে ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি পেয়েছেন আরিফুল। 

    ১৯২ বলে নাঈম মেরেছেন ১০টি চার, একটি ছয়। দিনশেষে ১৮১ বলে ১২ চার ও এক ছয়ে ১১৭ রানে অপরাজিত আছেন আরিফুল।