সাদমান-জুবাইরের ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্সের দিন
ঢাকা মেট্রো-সিলেট, সিলেট
টস- সিলেট (ফিল্ডিং)
১ম দিনশেষে
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৩৩২/৪* (শাদমান ১৫৭, মার্শাল ৫০, শাহনুর ২/৬১)
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল সিলেট। বুমেরাং হয়ে গেছে সেটা, সাদমান ইসলামের বড় সেঞ্চুরি ও মার্শাল আইয়ুবের ফিফটিতে প্রথম দিনই ৪ উইকেটে ৩৩২ রান তুলে ফেলেছে ঢাকা মেট্রো।
ওপেনিং জুটিতে সৈকত আলিকে নিয়ে ১১২ রান তুলেছিলেন শাদমান, আবু জায়েদের বলে ৪২ রান করে সৈকত ক্যাচ দেওয়ায় ভেঙেছে সে জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে শামসুর রহমানের সঙ্গে আরও ১১২ রান যোগ করেছেন সাদমান। শামসুর ৩৪ রানে এলবিডব্লিউ হয়েছেন এনামুল হক জুনিয়রের বলে।
২৩৮ বলে ২০ চার ও ২ ছয়ে ১৫৭ রান করে শাহনুরের বলে ক্যাচ দিয়েছেন সাদমান। প্রথম শ্রেণিতে এটি ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি তার, ক্যারিয়ারসর্বোচ্চ ইনিংসও। এর আগে ২০১৫-১৬ মৌসুমে বরিশালের বিপক্ষে ১৪০ রান করেছিলেন তিনি।
দিনশেষে মেহরাব হোসেন ২৮ রানে ও মোহাম্মদ আশরাফুল ১ রানে অপরাজিত আছেন। সিলেট বোলারদের বেশ পরিশ্রমী দিন গেছে, এনামুল জুনিয়র প্রথম দিনই করে ফেলেছেন ৩৬ ওভার।
ঢাকা-চট্টগ্রাম, ফতুল্লা
টস- চট্টগ্রাম (ফিল্ডিং)
ঢাকা ১ম ইনিংস ২৩৮ (তাইবুর ৬৩, রনি ৫৯, জুবায়ের ৫/৬১, নাঈম ৩/৭৪)
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস* ২৫/২
২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে চট্টগ্রামে ৯৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন জুবাইর হোসেন। প্রথম শ্রেণিতে এতোদিন সেরা ফিগার ছিল সেটিই। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন জুবাইর। জুবাইর ও নাঈম হাসানের স্পিনে ২৩৮ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ঢাকা। ফতুল্লায় একদিনেই পড়েছে ১২ উইকেট।
দুই থেকে সাত- ঢাকার ছয়জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁলেও ফিফটি করেছেন মাত্র দুইজন- তাইবুর রহমান ও রনি তালুকদার। তারাও বড় করতে পারেননি ইনিংস, ৫৯ রানে নাঈমের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন রনি। ৬৩ রান করে জুবাইয়ের বলে ক্যাচ দিয়েছেন তাইবুর। ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছিলেন তিনি, এরপরই ঢাকার ইনিংসে নেমেছে ধস। ৯ রানেই তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট, এর মধ্যে চারটিই নিয়েছেন জুবাইর।
দিনশেষে অবশ্য স্বস্তিতে নেই চট্টগ্রামও। ওপেনার ইরফান শুক্কুরের পর মুমিনুল হকও আউট হয়েছেন কোনও রান না করেই। দুইটি উইকেটই নিয়েছেন শাহাদাত হোসেন।