• জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮/১৯
  • " />

     

    মিজানুর-শান্তর আরেকটি ৩০০-পেরুনো ওপেনিং জুটি

    মিজানুর-শান্তর আরেকটি ৩০০-পেরুনো ওপেনিং জুটি    

    প্রথম স্তর
    রংপুর-রাজশাহী, রাজশাহী
    টস- রাজশাহী (ফিল্ডিং) 
    ২য় দিনশেষে
    রংপুর ১ম ইনিংস ১৫১ অল-আউট (নাঈম ৬০, শুভ ২৯, মোহর ৩/৩৭, ফরহাদ ৩/৩৯) 
    রাজশাহী ১ম ইনিংস* ৪১৯/২ (মিজানুর ১৬৫, শান্ত ১৭৩, মাহমুদুল ১/৬৭)


    ওপেনিংয়ের নিজেদের দ্বিতীয় ৩০০-পেরুনো জুটি গড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমান। দুজনের জুটির পর দ্বিতীয় দিনশেষে রংপুরের চেয়ে প্রথম ইনিংসে ২৬৮ রানে এগিয়ে গেছে রাজশাহী, বাকি আছে এখনও ৮ উইকেট। 

    আগের দিন ৯৯ রানে অবিচ্ছিন্ন ছিল শান্ত-মিজানুরের জুটি, রাজশাহীর প্রথম ব্রেকথ্রু পেতে আজ রংপুরকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫০ ওভার পর্যন্ত। ২১৬ বলে ১৬৫ রান করে আরিফুল হকের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিজানুর। প্রথম শ্রেণিতে মিজানুরের এটি ১১তম সেঞ্চুরি, জাতীয় লিগে টানা পঞ্চম। মিজানুর তার ইনিংসে মেরেছেন ২২টি চার। 

    গত মৌসুমে শান্ত-মিজানুর মিলেই গড়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণিতে ওপেনিংয়ের সর্বোচ্চ ৩৪১ রানের জুটি। গত রাউন্ডে সেটি ভেঙেছেন রনি তালুকদার ও আব্দুল মজিদ। মজিদ-রনির মতো এখন শান্ত-মিজানুরেরও তাই দুইটি ৩০০-পেরুনো জুটি। 

    মিজানুর ফিরলেও শান্ত ছিলেন আরও কিছুক্ষণ, ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ২৭ রান দূরে ক্যাচ দিয়েছেন মাহমুদুল হাসানের বলে। শান্ত একটি চার বেশি মেরেছেন মিজানুরের চেয়ে। 

    দুই ওপেনারকে ফেরাতে পারলেও দিনে আর সাফল্য পায়নি রংপুরের বোলাররা। রংপুর বোলিং করিয়েছে নয়জনকে দিয়ে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে অপরাজিত আছেন জুনাইদ সিদ্দিক (৩৯) ও ফরহাদ হোসেন (২৬)। 

     


     

    প্রথম স্তর
    বরিশাল-খুলনা, খুলনা 
    টস- খুলনা (ফিল্ডিং) 
    ২য় দিনশেষে 
    বরিশাল ১ম ইনিংস ২৯৯ (নুরুজ্জামান ৭৪, নাফীস ৪১, আল-আমিন ৩/৬৭, রাজ্জাক ৩/১২১)
    খুলনা ১ম ইনিংস* ১৯৯/৬ (মিঠুন ৭২, জিয়াউর ৪৬*, রাব্বি ২/২৬, সোহাগ ২/৫৮)


    খুলনায় বোলারদের দাপট চলছেই। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনও পড়েছে ৮ উইকেট। বরিশালের চেয়ে প্রথম ইনিংসে এখনও ১০০ রানে পিছিয়ে খুলনা, বাকি আছে ৪ উইকেট। 

    আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে বরিশাল এদিন যোগ করেছে আর ৩৩ রান, এর মধ্যে ২৬ রানই করেছেন নুরুজ্জামান। ৭৪ রান করে সৌম্য সরকারের বলে ক্যাচ দিয়েছেন, ক্যারিয়ারের এটি ৬ষ্ঠ ফিফটি তার। দিনের প্রথম ওভারেই অবশ্য উইকেট হারিয়েছিল খুলনা, ২২ রান করে মনির হোসেনকে এলবিডব্লিউ করেছিলেন আল-আমিন হোসেন। 

    প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনাও পড়েছিল চাপে, ১৭ রানের মাঝে আউট দুই ওপেনার, দুজনই কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার। তৃতীয় উইকেটে সৌম্য ও তুষার ইমরান সে চাপ খানিকটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, ৭ রানের ব্যবধানে ফিরতে হয়েছে দুজনকে, সোহাগ গাজীর বলে। সৌম্য করেছেন ৩৩, তুষার ৩১। 

    নুরুল হাসানও ফিরেছেন দ্রুতই, মনিরের বলে বোল্ড হয়ে। ৮৮ রানে ৫ উইকেট হারানো খুলনাকে এরপর টেনেছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও জিয়াউর রহমান, দুজনের জুটিতে উঠেছে ১০৬ রান। ৭২ রান করে সালমানের বলে ক্যাচ দিয়ে মিঠুন ফিরলেও দিনশেষে ৪৬ রানে অপরাজিত আছেন জিয়া।