• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    ওয়ানডের জন্য টেস্টে মুমিনুলকে হারাতে চান না নির্বাচকরা

    ওয়ানডের জন্য টেস্টে মুমিনুলকে হারাতে চান না নির্বাচকরা    

    বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্ট। একবার পড়ুন, কার নামটা ঝলক দিয়ে যায়? 

    মুমিনুল হককে নিয়ে এবার নতুন সঙ্কটে পড়েছেন নির্বাচকরা। এশিয়া কাপে তিন বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে দুই ম্যাচে সুযোগ পাওয়া মুমিনুল বাদ পড়েছেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের ওয়ানডে স্কোয়াড থেকে। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের মতো ক্রিকেটার না থাকায় দলীয় কম্বিনেশন ঠিক রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে ওয়ানডের ব্যাপারটা মুমিনুলের টেস্ট পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। মুমিনুলের ওয়ানডে ক্যারিয়ার হারিয়ে যায়নি, তবে ওয়ানডের জন্য টেস্টে মুমিনুলকে হারাতে চাচ্ছেন না তারা। 

    ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে বাদ পড়েছিলেন মুমিনুল। পরে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও শুরুতে ছিলেন না, পরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তাকে। এ বছরের শুরুতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন, মুমিনুল জবাব দিয়েছিলেন সমালোচনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চার ইনিংসে করেছেন ১, ০, ০, ১৫। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছিলেন বাড়তি সদস্য হিসেবে, তার আগে ‘এ’ দলের হয়ে গিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ডে, খেলেছিলেন বড় ইনিংস। 

    এশিয়া কাপে সুযোগ পেয়েছেন দুই ম্যাচে, করেছেন ১৪ রান। নির্বাচক হাবিবুল বাশার স্বীকার করছেন, দুই ইনিংস একটা ব্যাটসম্যানের জন্য যথেষ্ট নয়, সেক্ষেত্রে সেটা তার ‘দুর্ভাগ্য’, “মমিনুলের বাদ পড়া একটু দুর্ভাগ্য বলব, তার জন্য আমার সহানুভূতি। আমি মনে করি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার কখনই শেষ হয়ে যায়নি। আমার মনে হয় ওয়ানডেতে তার দেওয়ার অনেক কিছুই আছে।

    “কিন্তু আমাদের কিছু ক্রিকেটারকে দেখতে হত। এটা আমাদের সুযোগ, কিছু খেলোয়াড় দেখে নেয়া। সামনে আমাদের অনেকগুলো সিরিজ আছে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড (নিউজিল্যান্ড) সিরিজের পর বিশ্বকাপ আছে। তো এই জিম্বাবুয়ে সিরিজটা সুযোগ ছিল, কিছু ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়ার। যেটা বললাম, আমাদের যদি সাকিব তামিম থাকত তাহলে আমরা আরও খেলোয়াড় দেখতে পারতাম। কিন্তু এখানে আমাদের খুব একটা সুযোগ ছিল না। আমাদের সেরা কম্বিনেশন ও অভিজ্ঞতার দিকে নজর নিয়ে দল সাজাতে হয়েছে।

    “মুমিনুল এশিয়া কাপে যেই দুটি ম্যাচ খেলল, আমি বলব দুটি ইনিংস একজন ব্যাটসম্যানের জন্য যথেষ্ট না। যদি ওই দুই ইনিংসে রান করত, তাহলে ওর জন্য ভাল হত। যেহেতু রান করতে পারেনি আর আমাদের নতুন দুই একজন নতুন ক্রিকেটারকে দেখতে হচ্ছে তাই বাদ পড়েছে।”

    মুমিনুলকে পরীক্ষিত পারফর্মার উল্লেখ করে বাশার বলছেন, ফর্ম ফিরে এলেই তিনি ওয়ানডেতেও দলে ফিরবেন। তবে ওয়ানডের ভাবনাটা তার টেস্ট ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে কিনা, আশঙ্কা সেটা নিয়েই, “মমিনুল যদি রান করতে পারত তাহলে খুব ভাল হত। আমি সম্প্রতি তার ব্যাটিং দেখেছি ওয়ানডেতে। সে এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন ব্যাটসম্যান। আমি নিশ্চিত না, ওয়ানডে ব্যাটিংয়ের ভাবনা তার টেস্টের ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে কিনা। টেস্ট ম্যাচে কিন্তু সম্প্রতি তার কাছ থেকে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স পাইনি। টেস্টে কিন্তু সে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।”

    “এটা অস্বীকার করার কিছু নেই, টেস্টে তার ব্যাটিংটা আমাদের খুব দরকার। ওয়ানডে কিন্তু আমরা চালিয়ে নিতে পারছি, আমাদের বিকল্প আছে। কিন্তু টেস্ট মমিনুলের বিকল্প খুব কম। আমরা জানি না তার ওয়ানডের ভাবনা তার টেস্টের পারফরম্যান্সে ক্ষতি করছে কিনা, যেটা আমরা একদমই চাই না। এই মুহুর্তে তাকে আমরা টেস্টেই বেশি বিবেচনা করছি।”

    মুমিনুলও কি সেভাবেই ভাববেন- ‘যেটা ছিল না সেটা না পাওয়াই থাক’! নাকি ফিরবেন সবখানেই!