• বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে
  • " />

     

    এরপর জিম্বাবুয়ের সামনে কী, জানেন না মাসাকাদজা

    এরপর জিম্বাবুয়ের সামনে কী, জানেন না মাসাকাদজা    

    ওয়ানডে সিরিজে উড়ে যাওয়ার পর সিলেট টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানো জিম্বাবুয়ে ঢাকাতেও লড়াই করলো শেষদিন পর্যন্ত। দল হিসেবে এই ড্র হওয়া টেস্ট সিরিজ থেকে ইতিবাচক অনেক কিছুই খুঁজে পাবে জিম্বাবুয়ে। তবে সেটা খুব শীঘ্রই কাজে লাগানোর সুযোগটা পাচ্ছে না তারা। আগামী বছরের অর্ধেক পর্যন্ত কোনো খেলাই নেই জিম্বাবুয়ের! ভারতের সঙ্গে সিরিজ হতে পারে, আইসিসির সূচিতে অবশ্য অন্তর্ভুক্ত করা নেই সেটাও। অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ব্যাপারটাকে মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় দেখছেন না। 

    সিলেটে ১৭ বছর পর বিদেশের মাটিতে টেস্ট জিতেছে জিম্বাবুয়ে। আগের সফরে হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাওয়ার পর এবার বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজ ড্র করাটা জিম্বাবুয়ের দারুণ সাফল্যই। এটাকে ‘বিজয়’ হিসেবে না মানলেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি মাসাকাদজা, “আমি জয় বলবো না। তবে সবার পারফরম্যান্সে খুশি আমিI সবাই দারুণ লড়াই করেছে, এমনকি এ ম্যাচে পিছিয়ে থাকার পরও হাল ছাড়েনি। যেভাবে সবাই নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে, আমার দারুণ লেগেছে।” 

    টেস্ট সিরিজ হিসেব করলে আলাদা করে আসবে ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামসের ব্যাটিং, কাইল জারভিসের বোলিং। সঙ্গে দুই টেস্টেই দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন পিটার মুর, স্পিনে কার্যকরী ছিলেন সিকান্দার রাজা, ব্র্যান্ডন মাভুতারা। মাসাকাদজা নিজেও দাঁড়িয়ে গেছেন দলের প্রয়োজনে। 

    “এই ম্যাচে ব্রেন্ডন টেইলরের পারফরম্যান্স ছিল বিশ্বমানের”, বলছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক, “এ কন্ডিশনে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়, সেটা সে দেখিয়েছে। দুই ইনিংসই চমৎকার ছিল। কাইল জারভিস দারুণ বোলিং করেছে, সিলেটে টেনডাই চাতারাও ভাল বোলিং করেছিল। পেসাররা প্রতি ম্যাচেই দ্রুত উইকেট এনে দিয়েছে। এটা সমন্বিত একটা পারফরম্যান্স, সবাই অবদান রেখেছে। সামনে যেতে এটা আমাদের সাহায্য করবে।” 

    তবে সামনে আদৌ কখন খেলতে নামবে জিম্বাবুয়ে, নিশ্চিত নয় সেটাই, “আমার মনে হয় এখন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ভারতের সঙ্গে কয়েকটা ম্যাচের একটা সিরিজ হতে পারে। আপাতত দৃষ্টিসীমায় এটাই আছে। আমি জানি, বোর্ড কিছু ম্যাচের চেষ্টা করছে। তবে সেটা কতোদূর এগুলো, তা বলতে পারি না এখন। আমাদের পরের চ্যালেঞ্জ এটাই। খেলার জন্য এতদিন অপেক্ষা করে থাকাটা সুবিধার কিছু না, তবে আমাদের এটা মেনে নিতে হবে।” 

    জিম্বাবুয়ের এই ‘শুন্যতা’র মূল কারণ মূলত ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নাটকীয়ভাবে বাদ পড়াটা। আগামী বছর বিশ্বকাপের সময় জিম্বাবুয়েকে বসে থাকতে হবে এমনিতেও, সঙ্গে আছে আইপিএলের জন্য ‘অঘোষিত’ আন্তর্জাতিক বিরতি। 

    টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ের সুখস্মৃতি হলো অনেকগুলিই। তবে সামনে লম্বা একটা সময় সেই স্মৃতিই সম্বল তাদের!